Daily Gazipur Online

ইতালি ফেরত ১২৬ বাংলাদেশি যাত্রী আশকোনা হজ ক্যাম্প কোয়ারেন্টাইনে

এস, এম, মনির হোসেন জীবন : ইতালি থেকে দেশে ফেরা ১২৬ যাত্রীকে আজ সকালে রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ইতালির রোম থেকে দুবাই হয়ে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের (ইকে ৫৮২) নম্বরের একটি ফ্লাইটে করে তারা ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এসে অবতরণ করেন ।
ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এএইচএম তৌহিদ-উল আহসান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ১৪২ জন যাত্রী নিয়ে এমিরেটসের (ইকে ৫৮২) ফ্লাইটটি ঢাকায় এসে অবতরণ করে। তার মধ্যে ১২৬জন যাত্রী ইতালি থেকে দেশে ফিরেছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওই ফ্লাইটের যাত্রীদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে কি হবে না, সে পদক্ষেপ নেবে বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য বিভাগ।
শনিবার সকালে শাহজালাল বিমানবন্দর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ডা. শাহারিয়ার সাজ্জাদ এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শাহজালাল বিমানবন্দরে নামার পর পুলিশ পাহারায় বিআরটিসির কয়েকটি বাসে ইতালি ফেরত ১৪২জন যাত্রী ছিলেন। তার মধ্যে ১২৬জন যাত্রী ইতালি থেকে দেশে ফিরেছেন।
তিনি বলেন, ওই সব ব্যক্তিদের আশকোনা হজ ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়েছে। সম্ভাব্য করোনা-ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে এই ব্যক্তিদের সেখানে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
এদিকে, দেশে ফিরে আসা এই ১৪২ ইতালিপ্রবাসী রোম থেকে রওয়ানা হওয়ার আগে সেখানে থার্মাল স্ক্যানারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। সেখানে তাদের কারও শরীরে জ্বর ছিল না। থার্মাল স্ক্যানারে জ্বর মাপা হলেও কারও শরীরে জ্বর ধরা পড়েনি। ফিরে আসা যাত্রীদের প্রত্যেকের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।সেখান তাদের জ্বরমাপাসহ শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও নাম, ঠিকানাসহ তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে।
শনিবার সকালে আশকোনা হজ ক্যাম্পে গিয়ে দেখা যায়, যারা সকালে ইতালি থেকে দেশে ফিরেছেন তাদেরকে একনজর দেখার জন্য পরিবারের সদস্য ও আত্মীয় স্বজনরা মূলগেইটের সামনে ভিড় জমায়। এসময় পুলিশ ও সরকারের সংশ্লিস্ট স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা কঠোর নিরাপত্তায় দায়িত্বপালন করতে দেখা গেছে। কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।
এর আগে চীনের উহান থেকে আসা বাংলাদেশিদের হজ ক্যাম্পে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল। কারও মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ না পেয়ে ১৪ দিন পর তাদের বাড়িতে ফেরার অনুমতি দেওয়া হয়।