নরসিংদী থেকে হলধর দাস : নরসিংদী সদর উপজেলার আলোকবালীতে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রæতার জের ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৯ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। রোববার(১৬/৫/২১) সকালে সদরের চরাঞ্চল আলোকবালী ইউনিয়নের মুরাদনগর গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কয়েকটি বাড়িঘরে হামলা-ভাংচুর ও মালামাল লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
বিবাদমান দুই পক্ষের মধ্যে একটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আসাদ আলী ও অন্যটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আলী। স্থানীয়রা বলছেন, এই দুইটি পক্ষের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রæতা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছিল।
সংঘর্ষের সময় দুপক্ষের গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিরা হলেন, আসাদ আলী পক্ষের আনিছ মোল্লা (৫০), সাদেক মোল্লা (২৮), আমির মোল্লা (২৫), মো. হিমেল (২৮) ও মো. তপন (২০)। অন্যদিকে আইয়ুব আলী পক্ষের আমির হোসেন (৩৫), মনির মিয়া (২৯), মো. আসাদ (২৫) ও সজল মিয়া (৪৫)। গুলিবিদ্ধ এই ৯ ব্যক্তিকে নরসিংদী সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিক ও রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, নরসিংদীর সদর উপজেলার আলোকবালীতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ আলী ও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আলীর বিরোধ দীর্ঘদিনের। গত এক সপ্তাহ আগে স্থানীয় বাজারের একটি দোকানের দখল নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরেই ওই এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এরই জের ধরে সকালে দুই গ্রæপই আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নিজেদের মধ্যে সংর্ঘষে জড়িয়ে পড়েন।
স্থানীয় লোকজন জানান, এই সংঘর্ষে দুই পক্ষের ৯ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন এবং তাদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া কিছু বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর ও মালামাল লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক রোজী সরকার জানান, এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ দুজন ব্যক্তিকে আমরা চিকিৎসা দিয়েছি। তাদের একজনের শরীরে পাঁচটি ছিটাগুলি ও একটি বুলেট পাওয়া গেছে। আমরা তাদের ভর্তি রেখে চিকিৎসা দিচ্ছি।
নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার দত্ত চৌধুরী জানান, আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রæতার জের ধরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।