গণমাধ্যম কর্মী আইন নামে ‘কর্পোরেট মালিক সুরক্ষা আইন বাতিল করতে হবে’….. শওকত মাহমুদ

0
136
728×90 Banner

ডেইলি গাজীপুর প্রতিবেদক : বাংলাদেশ সিভিল রাইটস্ সোসাইটির উদ্যোগে ৫ এপ্রিল, মঙ্গলবার সকাল ১১.০০ ঘটিকায় জাতীয় প্রেসক্লাব মওলানা আকরম খাঁ হলে সাংবাদিক না গণমাধ্যম কর্মী রক্ষা আইন? শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শওকত মাহমুদ। বাংলাদেশ সিভিল রাইটস্ সোসাইটির চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখবেন, বিএফইউজে’র সভাপতি এম আবদুল্লাহ, বিএফইউজে’র মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, ঢাকা সাংবাদিক গৃহ সংস্থান সমবায় সমিতির সভাপতি আবদুল আউয়াল ঠাকুর, ডিইউজে’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, রয়টার্স’র ফটো সাংবাদিক রফিকুর রহমান, ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি এ কে এম মহসীন, বিএফইউজে’র সাবেক প্রচার সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, ডিইউজে’র সাবেক সহ-সভাপতি সৈয়দ আলী আসফার, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ডিইউজে’র যুগ্ম সম্পাদক শাজাহান সাজু, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এরফানুল হক নাহিদ, সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক এস এম তাজুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রধান অতিথি শওকত মাহমুদ বলেন, সাংবাদিক না গণমাধ্যম কর্মী আইন সংসদে উপস্থাপিত আইনটি আসলে সাংবাদিকদের স্বার্থসুরক্ষা আইন নয়, এটি একটি ‘কর্পোরেট মালিক সুরক্ষা আইন’ অবিলম্বে এই আইনটি বাতিল করতে হবে। কিছু বিলাসী জীবন-যাপনে অব্যস্থ সংবাদকর্মীদের উচ্চ বিলাসিতার কারণে সাংবাদিকদেরকে কর্মকর্তা হিসেবে আইনে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রকৃত পক্ষে সাংবাদিকরা শ্রমিক। ১৯৮৩ সালের ট্রেড ইউনিয়ন আইনে সাংবাদিকদের শ্রমিক হিসেবে অধিকার দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ২০১৭ সালে যখন গণমাধ্যম আইন নিয়ে আলাপ-আলোচনা হচ্ছিল তখন সাংবাদিকদের একটি প্যানেল এই আইনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। ২০২৩ সালে এসে তারা এই আইনের বিরোধীতা করে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিভিন্ন মানববন্ধন করে যাচ্ছে।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএফইউজের সভাপতি এম আব্দুল্লাহ বলেন, এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে সাংবাদিকদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। ২০১৩ সালের নির্বাচনের পূর্বে তথ্য প্রযুক্তি আইন বলবৎ করে। ২০১৮ সালে নির্বাচনের পূর্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নামে সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করার জন্য আরেকটি আইন সংসদে পাশ করা হয়। ২০২৩ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার গণমাধ্যম কর্মী (চাকুরীর শর্তাবলী) ২০২২ আইন নামে মালিক সুরক্ষা আইন প্রতিষ্ঠিত করতে যাচ্ছে। দেশের সকল সাংবাদিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের কাছে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।
নুরুল আমিন রোকন বলেন, গণমাধ্যম সুরক্ষা আইন নামে যে আইনটি করা হচ্ছে তার প্রতিটি ধারা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মালিকদের সুরক্ষায় করা হচ্ছে। ৫ হাজার টাকা দিয়ে যে কোন সিনিয়র সাংবাদিককে মালিক ইচ্ছা করলেই হেনস্তা করতে আইনে বাধা নেই, যা সাংবাদিকদের অপমানের সামিল। সাংবাদিকরা গণমাধ্যম কর্মী নয়, সাংবাদিকদের গণমাধ্যম কর্মী বলায় তিনি এই আইনের তীব্র বিরোধীতা করেন।

Print Friendly, PDF & Email
728×90 Banner

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here