ডেইলি গাজীপুর প্রতিবেদক : প্রতিদিনি যানজটের কবলে পড়ে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে গাজীপুরের অফিসগামী লোকদের। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় নষ্ট করে জীবিকার তাগিদে অনেকেই আবার পায়ে হেঁটে মাইলের পর মাইলে পাড়ি দিয়ে গন্তব্যেস্থলে পৌঁছে। তবে অনেকের কাছে গাজীপুরের এ চিত্র নতুন হলেও নগরে বসবাসকারীদের কাছে পরিচিত ।
সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন ট্রাফিক (জিএমপি) বিভাগও অনেকটাই অসহায় হয়ে পড়েছে। আবার অনেকেই বলছেন, ট্রাফিকের অবহেলা।
নগরের বাসিন্দা মাসুদ রানা বলেন, কোনাবাড়ি থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে গাজীপুর ভোগড়া বাইপাস সড়কে এলে দেড় ঘণ্টা গাড়িতেই বসে থাকতে হয়েছে।
তিনি জিএমপি ট্রাফিক বিভাগকে দোষারোপ করে বলেন, এর আগে সালনা-কেনাবাড়ি হাইওয়ে নিয়ন্ত্রণ করেছে কিন্তু এমনটি কখনও হয়নি। এ দুর্ভোগ যেন পিছু ছাড়ছে না। গাজীপুরের প্রায় সকল মহাসড়কেই একই চিত্র দেখা যাচ্ছে।
গাজীপুরের ব্যস্ততম সড়কগুলোর মধ্যে কালিয়াকৈর, চন্দ্রা, নগরীর কোনাবাড়ি, ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক, ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক, চৌরাস্তা, ভোগড়া বাইপাস, বোর্ডবাজার ও টঙ্গী। তীব্র এ যানজট সামাল দিতে গিয়ে অনেক সময় ট্রাফিক হিমশিমে ও নিস্ক্রিয় হয়ে পড়েন। গাজীপুরের চৌরাস্তা ও ভোগড়া বাইপাসে দেখা গেছে, গাড়ির প্রচণ্ড জটলা প্রায় এক ঘণ্টা সময় ধরে আটকে আছে শত শত যানবাহন।
দীর্ঘ লাইনের কবলে পড়ে সোহাগ গাজী জানান, রাজশাহী থেকে ভোর ৪টায় এয়ারপোর্টের উদ্দেশে রওনা দিয়ে ৯টার সময় গাজীপুর ভোগড়া বাইপাসে এসে এক ঘণ্টা ধরে যানজটের কবলে পড়ে আটকে আছি দুপুর ১২টায় তাঁর ফ্লাইট।
গাজীপুরের সকল শাখা ও মহাসড়কগুলোর একই অবস্থা দেখা যাচ্ছে। ইদানিং হঠাৎ করে যানজটের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয় নগরবাসীর। হালকা বৃষ্টি এলেই সড়কে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন ট্রাফিক (জিএমপি) বিভাগের এডিসি বলেন, বিআরটি রোডের কাজের খোঁড়াখুঁড়ির কারণে রাস্তা সিঁঙ্গেল হয়ে যানজটের তীব্রতা বাড়ছে। তিনি বলেন, আগামী বর্ষায় যানজটের তীব্রতা আরো বাড়বে। তাছাড়া সড়কের প্রতিটি পয়েন্ট দিয়েই অসংখ্যা গাড়ি বাড়ছে। সড়কে পানি নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থা নেই। এদিকে বিআরটি কাজও চলছে ধীরগতিতে খোঁড়াখুঁড়িতেই যানজটের তীব্রতা ধারণ করছে বলে তিনি জানান।