
ডেইলি গাজীপুর প্রতিবেদক: গাজীপুরের টঙ্গীতে পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রশাসনিক ও সামাজিক হয়রানিসহ একটি পরিবারের সদস্যদের যন্ত্রনায় পুরু ডোম সম্প্রদায় অতিষ্ঠ। এনিয়ে বাধা দিতে যাওয়ায় হত্যার পরিকল্পনা করছে প্রতিপক্ষরা। এ ঘটনায় টঙ্গী পূর্ব থানা ও ডোম সম্প্রদায়ের নিটক একাধিক অভিযোগ দায়ের করেন তারা।
এনিয়ে টঙ্গী ডোম সম্প্রদায়ের সভাপতি সালমান ডোম বলেন, গত তিন মাস আগে রাজধানীর পুরান ঢাকায় দিলীপ ডোম একটি মুসলিম পরিবারের মেয়ের সাথে পুলিশ তাকে আটক করেন। খবর পেয়ে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়। দিলীপ ডোমকে এবিষয়ে প্রথমবারের মত সাবধান করে দেয়। পরে, ডোম সম্প্রদায়ের মধ্যে এ খবরটি ছড়িয়ে পড়লে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের দিলীপ ডোম বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যম ও পুলিশ দিয়ে মামলা হামলার ভয়ভীতি দেখায়। এনিয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় ডোম সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দিলে থানা পুলিশ তা দু‘পক্ষের মধ্যে আপোষ মিমাংসা করে দেয়। এরপরও আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্য সহ টঙ্গী ডোম সমাজের সকলকে প্রতিনিয়ত হত্যা ও মামলা হামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে ঐ পরিবার।
টঙ্গীর ডোম সম্প্রদায়ের মহিলা সম্পাদিকা বিন্দীয়া রানী ডোম বলেন, ঘটনার পরপর আমাদের ডোম সম্প্রদায় থেকে তাকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তারপরও সে সাবধান হয়নি। এটি আমাদের সমাজের জন্য কলল্ক। অভিযোক্ত দিলীপ ডোমকে একাধিবার বুঝানো হয়েছে। তারপর সে বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এগার গ্রাম ডোম সম্প্রদায় থেকে তার পরিবারের সদস্যদের সমাজচ্যুত করা হয়েছে।
অভিযুক্ত দিলীপ ডোমের স্ত্রী মিনা রানী ডোম বলেন, ঘটনার পরপর আমি নিজে ঘটনার সর্ম্পকে খোঁজখবর নিয়েছি। আমার পরিবারকে একটি মহল এ সমাজ থেকে সমাজচ্যুত করার জন্য চেষ্ঠা করছে। তবে, ঐদিন একটি মুসলিম মেয়ের সাথে আমার স্বামী সহ পুলিশ তাদের আটক করেছে ঘটনাটি সত্য। কিন্তু আমার স্বামী ঐদিন মেয়েটিকে অসহায় বিধায় সহযোগীতা করতে গিয়ে পুলিশের নিকট আটক হয়। এনিয়ে আমাদের ডোম সম্প্রদায়ের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হয়।
এবিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি (অপারেশন) সুব্রত কুমার জানান, ডোম সম্প্রদায়ের অভিযোগ নিয়ে থানায় একাধিকবার বসা হয়েছে। দু‘পক্ষ নিয়ে তাদের লিখিত আপোষ মিমাংসা করে দেওয়া হয়েছে।
