
মো.রবিউল ইসলাম.টঙ্গী (গাজীপুর) : মানুষ মানুষের জন্য একটা বাস্তব প্রামণ করে দিলেন গত শক্রবার গভীর রাতে টঙ্গীর ৪৭ নং ওয়ার্ড তিস্তার গেট এলাকায় প্রায় দুই হাজার পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের মাধ্যমে ।
ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন শিল্পপতি মরহুম শামসুল আলম সাহেবের দুই ছেলে আলহাজ্ব মোঃ কবির হোসেন শিমুল এবং সোহেল আহমেদ।
তারা তাদের নিজস্ব অর্থায়নে এবং মাননীয় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব জাহিদ আহসান রাসেল এম,পির নির্দেশনায় পুরো তিস্তার গেট এলাকায় ২হাজার দুস্থ ও নিম্ন আয়ের পরিবারের মাজে ত্রাণ বিতরণ করেন।
এ ব্যাপারে মরহুম শামসুল আলম এর বড় ছেলে আলহাজ্ব মোঃ কবির হোসেন শিমুল বলেন আমরা এখন কঠিন সময় পার করছি, আপনারা সকলেই জানেন বাংলাদেশের করোনা নামক ভাইরাস টি এখন পুরো বিশ্বে মহামারী আকার ধারণ করেছে, এই মহামারীর ফলে মহাবিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্র গুলোর পাশাপাশি আমাদের বাংলাদেশ কেউ লকডাউন করা হয়েছে এবং বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বাংলাদেশের সকল শ্রম এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে।
এর ফলে বেকার হয়ে পড়েছে বাংলাদেশের মানুষএবং খাবারের সংকট দেখা গিয়েছে প্রায় সর্বত্রই। আমাদের দুই ভাইয়ের একটাই প্রচেষ্টা যেন আমাদের আশেপাশের গরিব দুঃখী মানুষ অনাহারে না থাকে। তাই আমাদের সাধ্যমতো আমাদের নিজের অর্থায়নে আমরা প্রায় দুই হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছি। এবং তিনি তার এলাকার জনসাধারণকে আশ্বাস দিচ্ছেন, যদি ভবিষ্যতেও খাদ্যসামগ্রীর সংকট হয় তিনি সবসময় জনসাধারণের পাশে থাকবেন এবং তার এলাকার গরীব-দুঃখীকে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিবেন।
এ ব্যাপারে মরহুম শামসুল আলম এর ছোট ছেলে সোহেল আহমেদ বলেন তার বাবা জীবদ্দশায় থাকতে সব সময় গরিবের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন এবং তিনি আরও বলেন তিনি এই অনুপ্রেরণা তার বাবার কাছ থেকেই পেয়েছেন।
তিনি আরো বলেন মাননীয় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আলহাজ মো জাহিদ আহসান রাসেল এম,পির দিক নির্দেশনায় তিস্তার গেট এলাকার গরিব দুঃখী অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছি এবং সকলকে জনসচেতন হয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছি।
এ ব্যাপারে স্থানীয় এলাকাবাসী বলেন মরহুম শামসুল আলম সাহেবের দুই ছেলে খুবই আন্তরিক এবং সদয়। তারা সব সময় যেকোন বিপদে আপদে এলাকার মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। এবং সকলকে সবসময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন আমরা এলাকাবাসী সারা জীবন তাদের পরিবারের প্রতি চির কৃতজ্ঞ থাকব।






