
ডেইলি গাজীপুর প্রতিবেদক : গাজীপুর জেলার টঙ্গীতে মানসম্মত শিক্ষা ও আশানুরূপ ফলাফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সফিউদ্দিন সরকার একাডেমি এন্ড কলেজটি উত্তরোত্তর সাফল্য লাভ করছে। আর এ কারণেই একটি কুচক্রী মহল এটিকে ধ্বংসের পাঁয়তারা করছে। গাজীপুর জেলার টঙ্গীতে শিক্ষার পথকে আরো সুগম করার লক্ষ্যে ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দে সফিউদ্দিন সরকার একাডেমি এন্ড কলেজের যাত্রা শুরু। সেই থেকে প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষাক্ষেত্রে যুগান্তকারী অবদান রেখে চলেছে। বর্তমানে ৯৬টি শাখায় প্রায় ৮০০০ জন ছাত্র-ছাত্রী বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত এবং ১৫২ জন শিক্ষক ও কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। স্বল্প সময়ের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটি এলাকার অভিভাবকদের আস্থা ও জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। অতি দ্রুতগতিতে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। মানসম্মত শিক্ষা ও আশানুরূপ ফলাফল প্রতিষ্ঠানটির উত্তরোত্তর সাফল্যের কারণে। এ কারণেই একটি কুচক্রী মহল এটিকে ধ্বংসের পাঁয়তারা করছে। অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহজ-সরল কিছুসংখ্যক অভিভাবকদের ভুল বুঝিয়ে তাদেরকে দিয়ে মনগড়া একটি মিথ্যা অভিযোগ তুলে ধরা হয় সংবাদ মাধ্যমে।
সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা ডায়েরি, টাই-সোল্ডার, ব্যাজ, আইডি কার্ড বাবদ পুরানো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৯শ’ টাকা এবং নতুন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৬৭০ টাকা নেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেন। মিথ্যা অপপ্রচার বন্ধ এবং সফিউদ্দিন সরকার একাডেমি এন্ড কলেজটিকে ষড়যন্ত্র ও ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা জন্য উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকম-লী ও সচেতন অভিভাবকরা। অত্র বিদ্যাপীঠ প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই টঙ্গী তথা গাজীপুরের ছাত্র-ছাত্রীদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। সেই ১৯৭৮ সাল থেকে বোর্ডের সকল পরীক্ষায় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি গাজীপুর জেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ হিসেবে সুনাম অক্ষুণœ রেখে চলছে। বিদ্যালয়ে শিক্ষার মান উন্নয়ন, ঝরে পড়া রোধে উদ্যোগ গ্রহণ, মিড ডে মিল, শিক্ষাবান্ধব, সহপাঠ্যক্রমিক শিক্ষা কার্যক্রম, ডিবেট ক্লাব, সাইন্স ক্লাব এবং ফটোগ্রাফী ক্লাবসহ নানামুখী শিক্ষণীয় কার্যক্রম থাকায় বিদ্যালয়টি গাজীপুৃর জেলায় অন্যতম একটি বিদ্যাপীঠে পরিণত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দক্ষ ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে লেখাপড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন কার্যক্রম চালানোর ফলশ্রুতিতে শিক্ষার্থীদের ঝড়ে পড়া শূন্যের কোঠায়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই প্রতিষ্ঠানটি অত্র এলাকায় শিক্ষায় পিছিয়ে পড়া ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদানে আগ্রহী করার পাশাপাশি অভিভাবকদের কাছে একটি আস্থাশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাধিক অভিভাবককের সাথে কথা বলে জানা গেছে, একটি স্বার্থান্বেষী মহলের কুপ্ররোচণায় কিছু শিক্ষার্থীর অভিভাবক কিছু না বুঝেই মনগড়াভাবে তারা তাদের বক্তব্য সংবাদ মাধ্যমে তুলে ধরছেন। সেই বক্তব্যকে সাজিয়ে গুছিয়ে একটি গোষ্ঠী প্রতিষ্ঠানটিকে ধ্বংস করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। একটি মহল কতিপয় শিক্ষক ও অভিভাবক প্রতিনিধির বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ সাজিয়ে তারা প্রতিষ্ঠানটিকে ধ্বংসের পাঁয়তারা করছে।
মিথ্যা অপপ্রচার সম্পর্কে অত্র প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, সকলের দোয়া ও ভালোবাসা নিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। কিছু ভিত্তিহীন মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ নিয়ে মুষ্টিমেয় কিছু অভিভাবক যে ধরনের নেতিবাচক আচরণ করেছে যা একেবারেই অনাকাক্সিক্ষত। যেকোনো ধরনের অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
অধ্যক্ষ মো. মনিরুজ্জামান আনীত সকল অভিযোগের বিষয়ে বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত কোনো অর্থ আদায় করা হয় না। নিয়মানুযায়ী ভর্তি ফিসহ অন্যান্য ফি আদায় করা হয়। কোনো অভিভাবকের ছেলে-মেয়ে প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করলে তিনি অভিভাবক সদস্য হতে পারেন। টঙ্গীর অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খোঁজ নিলে জানা যাবে তাদের চেয়ে আমরা কোনোভাবেই বাড়তি অর্থ নিচ্ছি না। সরকার নির্ধারিত নিয়ম-কানুন মেনেই আমরা প্রতিষ্ঠানটি চালানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি। এর বাইরে কোনো অর্থ হাতিয়ে নেয়ার সুযোগ নেই। বর্তমানে অভিভাবক এবং ছাত্র-ছাত্রীরা অনেক সচেতন। তাদের অন্ধকারে রেখে কোনো অবস্থায়ই কারচুপি করার সুযোগ নেই। তারা চাইলেই যেকোনো সময় যেকোনো তথ্য আমাদের কাছে পাচ্ছে। আমাদের তথ্য না দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। তথ্য অধিকার আইনে আমাদের কাছ থেকে তারা সব ধরনের তথ্য পাওয়ার অধিকারী। তিনি সবশেষে বলেন, ঐতিহ্যবাহী ও স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সফিউদ্দিন সরকার একাডেমি এন্ড কলেজটি আরো সুন্দর ও যুগোপযোগী করার জন্য সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছি।
