নারী শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত কর

0
277
728×90 Banner

ডেইলি গাজীপুর প্রতিবেদক: আন্তর্জাতিক নারী দিবস হচ্ছে নারী শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের ইতিহাস। ৮ মার্চ’২০১৯ইং শুক্রবার সকাল ১০:৩০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গ্রীণ বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ‘নারী শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার’ দাবীতে -“নারী শ্রমিকদের লাল পতাকা সমাবেশ ও র‌্যালী” অনুষ্ঠিত হয়।
র‌্যালী পূর্বক সমাবেশে গ্রীণ বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি সুলতানা বেগমের সভাপতিত্বে সংহতি বক্তব্য রাখেন জাতীয় শ্রমিক জোটের কার্যকরী সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, অন্যান্যদের মধ্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইলিয়াস, কেন্দ্রীয় নেতা খাদিজা রহমান,মিসেস সুইটি, ফরিদ উদ্দীন, মোঃ লিমন, সুমী আক্তার,মোঃ তাহের, আহমেদ ফ্যাশন্স শ্রমিক ইউনিয়নের নেত্রী মিসেস সানী, রিনা, এ.জে ফ্যাশন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা আঃ খালেক, ফ্লোরেসেন্ট এ্যাপারেলস শ্রমিক ইউনিয়নের নেত্রী রাবেয়া বেগম, সিনটেক্স গার্মেন্টেসের শ্রমিক সুফিয়া বেগম প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন,দেশের অধিকাংশ কর্মক্ষেত্র নারীবান্ধব নয়। যৌন হয়রানির ঘটনা ছাড়াও পুরুষ সহকর্মীদের মনমানসিকতা ও দৃষ্টিভঙ্গির কারণে শ্রমজীবী নারীদের নানা ধরনের বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হতে হয়। দেশের অনেক শিল্প-কারখানায় কর্মপরিবেশ এমন-টানা কয়েক বছর কাজ করলে নারী শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ভেঙ্গে পড়ে। কারখানা পর্যায়ে স্যানেটারী ন্যাপকিন, স্যানিটেশন ব্যবস্থা ভালো না থাকায় কিডনিসহ নানা দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হতে দেখা যায় নারী শ্রমিকদের। কিছু কিছু কারখানায় সুপেয় পানির ব্যবস্থা থাকে না। অনেক প্রতিষ্ঠানে সন্তানসম্ভবা নারী শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করা হয়। তাছাড়া মাতৃত্বকালীন ছুটির সময় বেতন-ভাতা-বোনাস ইত্যাদির সুযোগ থেকেও বঞ্চিত করা হয়। নারী শ্রমিকদের শোষণ-নিপীড়ন ও বৈষম্যের মধ্যে রেখে দেশের অগ্রগতি ও উন্নয়ন সম্ভব নয়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে শ্রম আইন প্রণীত হলেও কার্যত এর কোনো প্রয়োগ নেই। শ্রমবাজারে নিয়োজিত মোট শ্রমশক্তির প্রায় অর্ধেক নারী। নারীদের অবরুদ্ধ রেখে কিংবা নিয়ত বৈষম্যের বেড়াজালে আটকে, নারীদের শোষণ করে পরিবার, সমাজ তথা জাতীয় জীবনে প্রত্যাশিত উন্নয়ন অর্জন সম্ভব না। নারী শ্রমিকদের সামগ্রিক কল্যাণে মনোযোগী হওয়ার পাশাপাশি তাদের প্রাপ্য অধিকার নিশ্চিত করে কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ দেয়া। কঠোর আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগের মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে সব ধরনের হয়রানি থেকে নারীদের মুক্ত করা গেলে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের শ্রমবাজারের সুনাম বৃদ্ধি হবে। সমাবেশ শেষে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালী তোপখানা রোড থেকে হাইকোর্ট মোড় হয়ে পল্টন মোড় প্রদক্ষিন করে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।

সমাবেশে সভাপতি নিম্নলিখিত দাবীগুলো বাস্তবায়নের জন্য সরকার ও মালিকপক্ষের প্রতি জোরদাবী জানান
১. সকল নারী শ্রমিকদের স্বাস্থ্য-সুরক্ষা নিশ্চিত কর।
২. কর্মস্থলে নারী শ্রমিকদের জন্য স্যানেটারী ন্যাপকিনের ব্যবস্থা কর।
৩. নারীর সামাজিক মর্যাদা ও কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত কর।
৪. সরকারী সেক্টরের মত বেসরকারী সেক্টরেও ৬ মাস মাতৃত্বকালীন ছুটি নিশ্চিত কর।
৫. প্রত্যেক কারখানায় ডে-কেয়ার সেন্টারের ব্যবস্থা কর।
৬. কর্মক্ষেত্রে নারী বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত কর।
৭. বিশ্বের নারী-পুরুষ ঐক্য গড় সকল বৈষম্য দূর কর।
৮. সবাই মিলে ভাবো নতুন কিছু করো, নারী পুরুষ সমতার নতুন বিশ্ব গড়ো
৯. বয়স্ক নারী শ্রমিকদের পুন:বাসনের ব্যবস্থা কর।
১০. পারিবারিক, রাষ্ট্র, সমাজ ও কর্মক্ষেত্রে নারীরি সম-অধিকার নিশ্চিত কর।

Print Friendly, PDF & Email
728×90 Banner

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here