Daily Gazipur Online

পল্লী বিদ্যুতের কাঠের খুঁটি চুরি, চোরের দাম্ভিকতা

দ্বীন মোহাম্মদ মুন্না, শাহরাস্তি (চাঁদপুর) প্রতিনিধি:পল্লী বিদ্যুতের কাঠের খুঁটি চুরি করে কাঠ তৈরীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি শনিবার চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার খাজুরিয়া বাস স্ট্যান্ডের পাশে একটি স-মিলে এঘটনাটি ঘটে।
জানা যায়,ওই উপজেলার আশ্রাফপুর ইউনিয়নের পিপলকরা গ্রামের মোল্লা বাড়ির আলী আক্কাছ মোল্লার ছেলে জহিরুল ইসলাম (৩৮) এই ঘটনা ঘটিয়েছে। সে পল্লী বিদ্যুৎ ফেনী অফিসের এক ঠিকাদারের সাইড সুপারভাইজার হিসেবে কাজ করে। ঘটনার আগের দিন রাতে অভিযুক্ত জহির বিদ্যুতের দুটি কাঠের খুঁটি ওই স-মিলে পাঠায়। একদিন পর জহির খুঁটিগুলো দিয়ে কাঠ তৈরি করতে নির্দেশনা দেয় একই এলাকার কাঠ মিস্ত্রী মিজানকে। নির্দেশনা মোতাবেক মিজান এসে স-মিলের কর্মচারিদের ওই খুুঁটি দ্বারা আদল, রুয়া ও তক্তা তৈরীর হুকুম দেয়। মিজানের হুকুমে খুঁটি দিয়ে কাঠ তৈরি করার সময় স্থানিয় লোকজন দেখতে পায়। তারা নিকটস্থ পল্লী বিদ্যুত অফিসে খবর দিলে সংশ্লিষ্ট অফিসের লোকজন এসে ঘটনার সত্যতা পায়ে থানা পুলিশকে অবগত করেন। থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে অভিযুক্ত জহির ও মিজান কৌশলে পালিয়ে যায়।
সরেজমিনে, খাজুরিয়া ফিলিং ষ্টেশনের বিপরীত পাশে জসিমের স-মিলটি অবস্থিত। দুটি খুঁটির কয়েক টুকরো ও তৈরিকৃত কাঠের অংশ বিশেষ পড়ে থাকতে দেখা যায়।

এ বিষয়ে স-মিল মালিক জসিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি খুঁটি সম্পর্কে কিছুই জানিনা। তাছাড়া আমি কয়েকদিন ধরে মিলে ছিলামও না। এসে জানতে পারি পিপলকরা গ্রামের জহির কাঠ মিস্ত্রী মিজানের মাধ্যমে এখানে এগুলো নিয়ে আসে।
সত্যতা স্বীকার করে কাঠ মিস্ত্রী মিজান বলেন,আমি কাঠ মিস্ত্রীর কাজ করি। গতকাল জহির আমাকে গাছের টুকরা দিয়ে কাঠ তৈরী করতে জসিমের স-মিলে পাঠায়। আমি তা দিয়ে আদল, রুয়া ও তক্তা তৈরি করার কথা বলে চলে আসি। কিন্তু আমি জানতাম না এগুলো বিদ্যুতের খুঁটি এবং আমি সেগুলো দেখিনি।
জহিরের সাথে মুঠোফোনে আলাপ করলে সে বলেন, আমি বুঝতে পারিনি এগুলো নিয়ে এতো ঝামেলা হবে। কোন অফিসিয়াল অনুমোদন কিংবা টেন্ডার নেয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে বলেন, আমি কোন টেন্ডার বা অফিসিয়াল অনুমোদন নেইনি। পল্লী বিদ্যুতের পরিত্যক্ত কাঠের খুঁটি নিতে কোন অনুমতি অথবা কারো অনুমোদন লাগেনা। এলাকার কিছু লোক আমার বিরুদ্ধে পল্লী বিদ্যুতের লোকদের উস্কিয়ে দিয়েছে। আমি এতে বিব্রত নই।
এবিষয়ে কচুয়া পল্লী বিদ্যুত জোনাল অফিসের ডিজিএম জানান, অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।