
গোলাপ খন্দকার সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি: কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নওগাঁর সাপাহারে মফস্বল এলাকা শিমুলডাঙ্গা রামাশ্রম গ্রামের অদূরে একটি ইট ভাটায় টিনের চিমনী ও এলাকার বনায়ন ধ্বংস করে করাত কল বসিয়ে গাছ কেটে ইট ভাটায় পুড়ছে কাঠ।
জানা গেছে,চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার কয়েক জন লোক দীর্ঘ দিন ধরে উপজেলার ওই এলাকায় এসে কৃষকের ধান চাষের জমি লিজ নিয়ে তাদের টাটা নামের এই ভাটাটি চালিয়ে আসছে। সম্প্রতি ওই এলাকায় গেলে সাধারণ এই ভাটাটি চোখে পড়ে। ভাটায় গিয়ে দেখা যায় ড্রাম টিনের ছোট একটি চিমনী ভাটার উপরে দাঁড়িয়ে রয়েছে। চিমনীর চতুর দিকে রয়েছে শুধু কাঠ আর কাঠ। এছাড়া ভাটায় জ্বালানো কাঠগুলি টুকরো করার জন্য ওই ভাটা এলাকার মধ্যে রয়েছে একটি করাত কল যা দিয়ে ভাটার কাঠগুলি ছোট ছোট টুকরা করা হয়।
শিমলডাঙ্গা এলাকার আব্দুল জলিলের সাথে কথা হলে তিনি জানান,আমাদেও এলাকাটি কৃষি প্রধান এলাকা আমরা ওই এলাকায় বিভিন্ন ফসল চাষ করে নিজেদের সংসার চালাই কিন্ত এই এলাকায় পরিবেশের ক্ষতিকর ইট ভাটা স্থাপন হওয়ায় অনেক ফসল চাষাবাদ করতে পারিনা এবং এলাকার গাছ গুলো কিনে এনে তারা করাত কলে কেটে পুড়াচ্ছে যাতে কওে তারা যেন এ গাছ গুলো পোড়াতে না পারে সে জন্য কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
ভাটায় গিয়ে ভাটার মালিক রাশেদ খানকে পাওয়া না গেলে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান যে, স্থানীয় ব্যক্তিদেও ম্যানেজ করেই বহু দিন ধরে তিনি ওই ভাটাটি চালিয়ে আসছে। তবে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্যও তিনি এই প্রতিবেদকে অনুরোধ করেন।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কল্যান চৌধুরীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, বিষয়টি আমার জানা ছিল না,সরেজমিনে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু ব্যক্তি বলেন, ভাটার মালিক অনেক টাকাওয়ালা লোক,এলাকার জমি লিজ নিয়ে টাটা নামের ভাটাটি চালিয়ে আসতেছে।আমাদের চাষাবাদের উপর এর প্রভাব পড়লেও কে শোনে আমাদের কথা। ভয়ে আমরা কোথাও কোন অভিযোগ করিনি। এলাকাবাসির দাবি ভাটাটি সরকারী নিয়ম নিতি মেনে পরিবেশ বান্ধবভাবে চালানোর জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দৃষ্টি আকষর্ণ করছে।
