তৃণমূল জনসংগঠন ও সাদেক হোসেন খান

0
431
728×90 Banner

ডেইলি গাজীপুর প্রতিবেদক : ১৯৯৪ সাল থেকে তৃণমূল জনসংগঠনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের রাজনীতি শুরু করেন সাদেক হোসেন খান। শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্যারের হাতে গড়া সংগঠনের ব্যানারে ১৯৯৫ সালে প্রথম নন ভোটার হিসেবে টঙ্গী পৌর সভার মডেল নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী এড. আজমত উল্লা খানের পক্ষে কাজ করেন। পাশাপাশি তৎকালীন বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করেন তিনি। ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত পপ্রার্থী আহসান উল্লা মাস্টারের পক্ষে সংক্রিয় ভাবে নির্বাচনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। তখন থেকেই তৃণমূল জনসংগঠনের ব্যানারে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্যারের সাথে সার্বক্ষিণ যোগাযোগ রেখে কাজ করেছেন। ২০০১ সালে নির্বাচনে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্যার ব্যাক্তি ইমেজের কারণে আবারও জয় লাভ করেন। কিন্তু নির্বাচনের পর পর মন্নু ট্রাকষ্ট্যান্ডে থাকা সাদেক হোসেন খানের ৪টি দোকান ভেঙ্গে দখল করে নেয় টঙ্গী সরকার পরিবারের লোকজন।


উল্লেখ্য তৎকালীন সময় টঙ্গী আঞ্চলিক শ্রমিকলীগ ও তৃণমূল জনসংগঠন ছাড়া টঙ্গীতে বড় ধরনের কোন মিছিল, মিটিং, সভা, সমাবেশ করা যেতো না। জাতীয় শ্রমিকলীগ টঙ্গী আঞ্চলিক শাখার সভাপতি ছিলেন শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্যার এবং সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মরহুম আব্দুল গণি মিয়া। ২০০৪ সালে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্যার সন্ত্রাসীরা দিনদুপুরে নিজ বাড়ির সামনে গুলি করে হত্যা করার পর সাদেক হোসেন খান ও মরহুম আব্দুল গণি মিয়ার নেতৃত্বে গণি মিয়ার পিএস রফিকুল ইসলামসহ ১০ থেকে ১২ জন ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রথম মিলগেইট থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন। পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন পাড়া মহল্লা থেকে লোকজন এসে ঢাকা ময়মনসিংহ সহাসড়কসহ গাজীপুর অচল হয়ে যায়। শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার মৃত্যুর পর তার সুযোগ্য সন্তান বর্তমান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব জাহিদ আহসান রাসেল এমপির পক্ষে উপনির্বাচনে বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা নির্বাচনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করি এবং শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রে নৌকা মার্কার প্রধান এজেন্টের দায়িত্ব পালন করি। ১৯৭৫ পরবর্তীতে প্রথম বারের মত শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রে নৌকা মার্কা বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয় লাভ করেন। ওই বছরের শেষ দিকে সাদেক হোসেন খানকে টঙ্গী ট্রাক ষ্ট্যান্ড ইউনিট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করেন এবং তৎকালীন আওয়ামীলীগ নেতা আলী আকবর চাচার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক দুলাল মৃধার পরিচালনায়। বর্তমানে সাদেক হোসেন খান ৫৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী। এছাড়াও টঙ্গীস্থ বৃহত্তর কুমিল্লা সমন্বয় পরিষদের দফতর সম্পাদক, তৃণমূল জনসংগঠন টঙ্গী শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক, একতা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি, গোরস্থান জামে মসজিদের অন্যতম উপদেষ্টা, কড়ইতলা বাইতুন নূর জামে মসজিদের উপদেষ্টা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত রয়েছেন। অদ্যবধি সাদেক হোসেন খান দল থেকে কোন ধরনের সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করেননি। নিজের উপার্জিত ব্যবসায়ীক টাকা দিয়ে মানুষের জন্য ও দলীয় কর্মীদের জন্য সাধ্য অনুযায়ী সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। সাধারণ মানুষের বিপদে-আপদে পাশে দাঁড়াচ্ছেন। তার পিতা শিশু মিয়া মাতাব্বর করইতলা বাইতুন নূর জামে মসজিদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

Print Friendly, PDF & Email
728×90 Banner

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here