

ডেইলি গাজীপুর ( সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ): ইন্ডাষ্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিল-আইবিসি’র পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা গ্রহন করুন। আমাদের আমন্ত্রনে উপস্থিত হওয়ার জন্য আমরা কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আপনারা সকলেই অবগত আছেন বিগত ২০২০ সালে বৈশ্বিক করোনা মহামারী বিশ্বব্যাপী একটি ভয়াবহ বিপর্যয় নিয়ে আসে। ইউরোপ, আমেরিকা এবং কানাডায় লাশের মিছিলের প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন দেশে লকডাউন শুরু হলে আমাদের দেশের পোশাক খাতে সাময়িকভাবে নেতিবাচক প্রভাব দেখা দেয়। বিগত বছর মার্চ মাসে দেশে করোনা সংক্রমন শুরু হলে সরকার বিষয়টি অত্যান্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতা দিবসের সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে প্রদত্ত ভাষনে ২৭ শে মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারন ছুটি ঘোষণা করেন এবং ক্রমান্বয়ে উহা ৫ জুন, ২০২০ পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে বর্ধিত করা হয়। দেশের সাধারন মানুষ সহ পোশাক শ্রমিকেরা করোনা মহামারীর ভয়াবহতায় নানাবিধ সংবাদে ভবিষ্যতে কি হবে, আমরা মহামারীর ছোবল থেকে মুক্ত থাকতে পারবো কিনা বা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা সম্ভব হবে কিনা নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচছিল। শ্রমজীবি মানুষের জীবনে নেমে এসেছিল অমানিষার অন্ধকার। মে,২০২০ প্রথমার্ধে লকডাউনের মাঝে দেশবাসী কি দেখতে পেল মালিকরা নিজস্ব চ্যানেলে সাধারন ছুটির মাঝে শ্রমিকদের কাজে আসার নির্দেশ দিলে প্রত্যান্ত অঞ্চলে অবস্থানরত শ্রমিকবৃন্দ ইজিবাইক, অটো রিক্সা, পিক-আপ, ফেরিতে করে এমন কি কেহ কেহ ট্রাকের অভ্যান্তরে ড্রামের ভিতরে বসে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নানাবিধ উপায়ে ৩/৪ গুন বেশী ভাড়া দিয়ে কর্মস্থলে রওয়ানা দিলে একটি অমানবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ফেরিতে অসহনীয় মানুষের চাপে সামাজিক দুরত্ব সহ স্বাস্থ্যবিধি সম্পূর্ণ ভেঙ্গে পড়ে, শ্রমিকরা করোনা সংক্রমনের ঝুকিতে পড়ে। দেশের সর্বত্র সমালোচনা ঝড় শুরু হলে, মালিকপক্ষ নানা কথার ফুলঝুড়ি দিয়ে নিজেদের দায়-দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে চেষ্টা করেন। আসলে প্রকৃত দুর্ভোগ বা কষ্ট খেটে খাওয়া শ্রমিকদের হয়েছে বলে দেশবাসী মনে করে। যাহা কোনভাবেই কাম্য ছিল না। অতিমারীর সুযোগে কিছু কিছু ব্রান্ডস তাদের কার্যাদেশ স্থগিত, ক্রয়মূল্য হ্রাসের চেষ্টা সহ প্রদত্ত কার্যাদেশ বাতিল করার অনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু করেন। ব্রান্ডস সমুহের এহেন আচরন কোনভাবেই ফেয়ার ট্রেডের পর্যায় পড়ে না। পাক্ষিক শ্রমিক আওয়াজের ৫ জুলাই, ২০২১ সংখ্যায় প্রকাশিত এক সংবাদে জানা যায় যে, নেদারল্যান্ড ভিত্তিক শ্রমিক অধিকার আন্দোলন “ক্লিন ক্লথ ক্যাম্পেইন” তাদের অনুসন্ধানে সাপ্লাই চেইনের করোনা কালে প্রাইমার্ক, এইচএন্ডএম এবং নাইকি এর মত বিশ্বসেরা ব্য্রান্ডসগুলো শ্রমিকদের ‘মজুরী পরিশোধ না করার অভিযোগ উঠছে। কারন বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইনের অংশ হিসাবে কোন কারখানা শ্রমিকদের প্রাপ্য মজুরী বা সার্ভিস বেনিফিট না দিলে তার দায়-দায়িত্ব ব্র্যান্ডস এর উপর বর্তায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার দুরদৃষ্টি সম্পন্ন প্রজ্ঞা দিয়ে শ্রমিকদের অন্তত ৩ মাসের মজুরী সহায়তার অংশ হিসাবে পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেন যা পরবর্তীতে প্রায় দশ হাজার পাঁচ শত কোটি টাকার অংকে গিয়ে দাড়িয়েছে। প্রকারান্তরে আমরা সহ দেশবাসী কি দেখতে পেলাম ? মজুরী কর্তন যথা এপ্রিল মাসের ৬৫% ভাগ মজুরী পরিশোধ করা হয়। ছাঁটাই, অবৈধ চাকুরীচ্যুতির বিপরীতে প্রকৃত আইনানুগ পাওনাদী প্রাপ্তী থেকে শ্রমিক কে বঞ্চিত করার বিভিন্ন চিত্র দেখা গেল। শ্রমিকের বাড়ীভাড়া, জীবন-যাত্রার ব্যায়, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবার ব্যায় তো কমেনি উপরন্ত বেড়েছে। লকডাউনে কারখানা খোলা রাখলে দুরবর্তি অঞ্চলে বসবাসরত শ্রমিক বেশীভাড়া দিয়ে তাকে বিভিন্ন পরিবহনে আসতে হয়। বৈশ্বিক করোনা অতিমারীর সময়ে পোশাক শিল্প যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় ২০২১ সালের শুরু থেকে আইবিসি সহ অন্যান্য শ্রমিক সংগঠন বার বার বলেছে জরুরী ভিত্তিতে ভ্যাকসিন দেয়ার মাধ্যমে পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের নিরাপদ রাখতে, কিন্তু সরকার বিষয়টি প্রতি কোন প্রকার গুরত্ব প্রদান করেন নাই। চলতি বছর ২৩ জুলাই থেতে ৫ আগষ্ট পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার পুনরায় সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করেন। প্রজ্ঞাপনে বলা হয় জরুরী সেবা সমূহ ছাড়া সকল প্রকার কল-কারখানা বন্ধ থাকবে। ২১ জুলাই পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে অধিকাংশ কারখানায় ৭/৮ দিনের ছুটি দিয়ে নোটিশ টাঙ্গিয়ে দেয়। পোশাক শিল্পের মালিকরা কারখানা খোলা রাখার জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ে বিভিন্ন লবিং শুরু করেন এবং ২৯ আগষ্ট তারিখে এসে তারা সফলও হোন। মালিকদের চাপে সরকার লকডাউনের পুর্বের ঘোষণা থেকে সরে এসে রপ্তানীমুখী কারখানাগুলো ১ আগষ্ট থেকে চালু করা যাবে মর্মে সিদ্ধান্ত দেন। সকল প্রকার গণপরিবহন ও লঞ্চ সার্ভিস বন্ধ থাকা অবস্থায় গ্রামাঞ্চলে অবস্থানরত শ্রমিক কিভাবে তাদের কর্মস্থলে পৌছাবে সেটা সরকার বা মালিক সমিতি কেহ বিবেচনায় নিলেন না। বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ নেতৃবৃন্দ বলতে থাকেন, কারখানা সমূহের আশে পাশের অবস্থানরত শ্রমিক দিয়ে প্রাথমিকভাবে কাজ শুরু করা হবে এবং ৫ আগষ্ট এর পর লকডাউন শেষে দূরবর্তী অঞ্চলে অবস্থানরত শ্রমিক কাজে এসে যোগদান করবে। কোন প্রকার চাকুরীচ্যুত করা হবে না বলে আশ্বস্ত করেন। প্রকারান্তরে কারখানার মিড লেভেল ষ্টাফ দ্বারা শ্রমিকদের ব্যাক্তিগত ভাবে ফোনে যোগাযোগ করে বলা হয় কারখানা ১ তারিখ খোলা, কিভাবে কাজে যোগ দিবে সেটা তোমার ব্যাপার। সরকারী ঘোষণা ও ব্যাক্তিগত যোগাযোগের পরেই বিগত বছরের মত অসহায় শ্রমিক আবার ও কর্মস্থলমুখী রওয়ানা হলো। পুনরায় বিগত বছরের মত সমালোচনা শুরু হলে, সরকার ৩০ ঘন্টার জন্য বাস-লঞ্চ চলাচলের সাময়িক অনুমতি প্রদান করেন। উক্ত ৩০ ঘন্টায় পোশাক শিল্পের আনুমানিক ২৫% ভাগ শ্রমিক কর্মস্থলে যোগদান করতে পেরেছে এবং শ্রমিক কে গুনতে হয়েছে ৩/৪ গুন বেশী ভাড়া। বহু শ্রমিককে উচ্চ সুদে টাকার ব্যবস্থা করে কর্মস্থলে ফিরে আসতে হয়েছে। কোন কোন কারখানা ১ আগষ্ট উপস্থিতি নিশ্চিতে আভ্যান্তরিন লটারীর আয়োজন ও করেছেন। শ্রমিককে ফেলে দেয়া হয় নানাবিধ দুর্ভোগে। লকডাউন সময়েকারখানা বন্ধের বিপরীতে জেনারেল ডিউটি করানোর মাধ্যমে মজুরী সমন্বয় বা পূর্বের করা ওভারটাইম কেঁটে নেয়াসহ নানাবিধ অপচেষ্টা হয়েছে। শ্রমিক কে প্রচুর আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন সহ চাকুরীচ্যুতির এক ভীতিকর পরিস্থিতির নামে এক অসহনীয় জীবিকার যুদ্ধের মুখোমুখি এনে দাঁড় করিয়েছেু। তিন দশকের বেশী সময়ের পোশাক শিল্প আমাদের জাতীয় জীবনে অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে এটা অনস্বীকার্য। প্রায় ৪০/৪৫ লক্ষ শ্রমিকের জীবন-জীবিকার অন্যতম বেসরকারী শিল্প কোন কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হোক দায়িত্বশীল শ্রমিক সংগঠণ হিসাবে আমরা প্রত্যাশা করি না। অথচ বৈশ্বিক করোনা মোকাবেলায় মালিকদের কাছ থেকে যে সহানুভুতিশীল আচরন বা পদক্ষেপ প্রত্যাশা করেছিলাম দূর্ভাগ্য সেটার কোন নূন্যতম প্রতিফলন আমরা দেখতে পাইনি। প্রকারান্তরে দেখেছি মালিকপক্ষ সরকারের কাছ থেকে নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তীর অব্যাহত চেষ্টা এবং অধিকাংশ সুযোগ সুবিধা প্রাপ্তীর সফলতা তাহারা পেয়েছেন। “তৈরী পোশাক খাতের করোনাভাইরাস উদ্ভুত সংকট সুশাসনের জন্য চ্যালেঞ্জ ও করণীয়“শীর্ষক ট্রান্সপারেন্সী ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এক গবেষণায় বলা হয় স্বেচ্ছাচারিতা এমন কি ক্রমাগত শ্রমিকের কাজের নামে শোষন বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনা সময়ে বিভিন্ন কারখানা ইচ্ছাকৃত ছাঁটাই আতংক সৃষ্টির মাধ্যমে বেতন কমানো, মজুরী ছাড়া অতিরিক্ত কর্মঘন্টা কাজ করানো এবং ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের পাওনাদী পরিশোধ না করার অভিযোগের কথাগুলো এসেছে। গবেষনায় বলা হয় বিগত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিজিএমইএ’র ৩৪৮ টি সহ মোট ১ হাজার ৯০৪ টি কারখানা লে-অফ ও বন্ধ হয়েছে। উক্ত সময়ে প্রায় ৬০-৬৫ হাজার শ্রমিক ছাঁটাইয়ের শিকার হয় (যদিও শ্রমিক সংগঠনগুলো শ্রমিক ছাঁটাইয়ের সংখ্যা আনুমানিক ৩ লক্ষ বলে দাবী করে)। একত্রে বহু শ্রমিক ছাঁটাই হলেও পরবর্তীতে অল্প সংখ্যক করে শ্রমিক ছাঁটাই বিভিন্ন কারখানায় অব্যাহত রয়েছে। এতে করে দৃশ্যমান হয় যে, করোনা সংকটের কারণে তৈরী পোশাক খাতে সুশাসনের ঘাটতি আরও ঘনীভুত হয়েছে। করোনাকালীন অতিমারীর মধ্যে দেশের অন্যতম চালিকা শক্তি এবং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করা শ্রমিকদের সাথে কতিপয় শিল্প মালিকদের মুনাফালোভী চরিত্র দেখে আইবিসি গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন ও হতাশ। রানাপ্লাজা ধসের পর দেশের কল-কারখানা পরিদর্শন দপ্তর কে অধিদপ্তরে উন্নিত করে জনবল সহ লজিষ্টিক সার্পোট বৃদ্ধি করা হলেও করোনাকালে দপ্তর টি শ্রমিকদের আশানুরুপ কোন সহায়তা বা সেবা প্রদান করেন নাই।যদি ও কলকারখানা অধিদপ্তর মালিকপক্ষকে বিভিন্ন প্রকার সহযোগীতার তথ্য আমরা জানতে পেরেছি। অপর দিকে শহা-পরিচালক শ্রম অধিদপ্তর ট্রেড ইউনিয়ন রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রমে শ্লথগতি এমন কি মালিকপক্ষের অসৎ শ্রম আচরনের অভিযোগ গুলো নিষ্পত্তিতে অনিহা বা ফাইলবন্ধী করে রেখেছেন। দেশের সরকার দৃশ্যত শ্রমিকদের কোন প্রকার সহযোগীতা না করায় আমাদের কে ব্যাথিত করেছে। কারখানার মজুরী প্রদানের দায়িত্ব স্ব-স্ব মালিকের। সরকার প্রণোদনার অর্থ মালিকদের কে দিয়েছেন। সরকার করোনা কালে শতভাগ ঝুঁকি নিয়ে উৎপাদনে থাকা শ্রমিকদের অর্থনৈতিক সাশ্রয় করার অংশ হিসাবে ভর্তুকি মূল্যে চাল, ডাল, আটা, ভোজ্য তেল সহ শিশু খাদ্য সরবরাহের ব্যবস্থা করতে বা প্রধানমন্ত্রী ঈদ উপহারের অংশ হিসাবে ২৫০০ টাকার আর্থিক সহায়তা দিতে পারতেন। প্রকৃত অর্থে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী শ্রমিকদের নিয়ে কারো কোন মাথা ব্যাথা নেই, ওরা মজদুর খেঁটে যাওয়ার জন্য যাদের জন্ম তাদের আবার দুঃখ কিসের। ভ্যাকসিন দেবার বর্তমান সিদ্ধান্ত বিগত বছরে গ্রহন করলে শ্রমিককে ঝুঁকি নিয়ে কাজে যেতে হত না। তবে এখনো পর্যন্ত পোশাক শিল্পের শ্রমিকদেরকে কারখানা পর্যায়ে ভ্যাকসিন দেয়ার গতি সন্তোষজনক নয়। শ্রকিদের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা শুরু না হওয়াটা দুঃখজনক। শ্রমিকের সংগঠিত হয়ে কথা বলার অধিকার, জীবনমান উন্নয়ন, চাকুরীর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরন, জীবন-যাপন উপযোগী মজুরী প্রদান এর নিশ্চয়তাই দিতে পারে সুস্থ্য সবল কর্মক্ষম একেকটি শ্রমিক, যারা আগামী দিনের করোনামুক্ত বিশ্বে পোশাক শিল্পের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে অন্যতম ভুমিকা রাখবে।
আইবিসি বর্তমান করোনা কালের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিমোক্ত সুপারিশ পেশ করছে করছেঃ-
১। দ্রুততার সাথে সকল শ্রমিককে ভ্যাকসিন দিতে হবে।
২। লকডাউনের সময়ে আকস্মিক কর্মস্থলে আসা শ্রমিকদের প্রত্যেক কে ৩০০০ হাজার টাকা কওে ক্ষতিপূরণ ভাতা
পরিশোধ করতে হবে।
৩। ভ্যাকসিন দেয়ার পূর্ব পর্যন্ত সকল শ্রমিক কে ২৫% ঝুঁকি ভাতা এবং সরকার ঘোষিত কোন লকডাউনে
কাজ করালে ৫০% ভাগ ঝুঁকি ভাতা দিতে হবে।
৪। সকল প্রকার ছাঁটাই বন্ধ করতে হবে, পুর্বে ছাটাইকৃত শ্রমিকদের প্রাপ্য আইনানুগ পাওনাদী পরিশোধকরতে হবে।
৫। লকডাউনকালীন সময় সমন্বয়ের নামে কোন জেনারেল ডিউটি বন্ধ এবং পূর্বে করানো ডিউটিরওভারটাইম প্রদান
করতে হবে। কোন কারখানা বিরুদ্ধে সুর্নিদিষ্ট অভিযোগ পেলে দ্রুত তদন্ত করে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে।
৬। বর্তমান নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি বিবেচনায় নিয়ে অবিলম্বে শিল্পাঞ্চলে ভর্তুকি মূল্যে চাল,ডাল, আটা,
ভোজ্যতেল, চিনি এবং শিশূখাদ্য বিক্রয়ের ব্যবস্থা নিতে হবে।
৭। আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডস কে ব্যাবসায়ীক নৈতিকতা বজায় রেখে দেশীয় মালিকদের সাথে ব্যবসা করতে হবে। শিল্পটি
যেহেতু বৈশ্বিক তাই শ্রমিকদের বা শিল্পের কোন সংকটে কার্যাদেশ স্থগিত, বাতিল বা মুল্যহ্রাসের মত কোন চেষ্টা থেকে
বিরত থাকতে হবে।
৮। করোনা কালে কোন কারখানা শ্রমিক ছাঁটাই বা অসন্তোষ দেখা দিলে আলোচনার টেবিলে সমাধানের চেষ্টা করা। কোনভাবেশ্রমিক বা নেতৃবৃন্দকে আসামী করে ফৌজদারী মামলা দায়েরের মাধ্যমেউত্তেজনা উস্কে দেয়া থেকে বিরত থাকা।
৯। শ্রমিক সংগঠন, মালিকপক্ষ এবং সরকার কে যে কোন সংকট মোকাবেলায় সংলাপের মাধ্যমে প্রণিত সুপারিশ বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহন করা।
১০। শ্রমিকদের নিজস্ব কন্ঠ সোচ্চারে অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন গঠন এবং যৌথ-দরকষাকষির সুযোগ দেয়ার পরিবেশ সরকার এবংমালিকদেরকে নিশ্চিত করতে হবে।
