
সাবরিনা আরিফ চৌধুরী: দীর্ঘ বিবাহিত জীবনে সম্ভবত: এমন একজন পুরুষ মানুষও নেই যে কখনও অন্য কোন নারীকে দেখে তার ব্যক্তিত্ব ,চেহারা, বাচনভংগি অথবা অন্য কোন কিছুতে মুগ্ধ হননি ! কেউ হলফ করে বলতে পারবেনা হঠাৎ কোন ভাললাগা তাকে এক পলকের জন্য ছুঁয়ে যায়নি ! কিন্ত , বাস্তবতা, সাংসারিক অভ্যস্ততা , সামাজিকতার তোড়ে সে ক্ষনিকের ভাললাগা খড় কুটোর মতই ভেসে যায় ! যদি কোন সুযোগে বা পরিস্থিতিতে এটি বাড়তে থাকে তবেই ঘটে বিপর্যয় ! একমাত্র দু:চরিত্র পুরুষ ব্যাতীত কেউই স্বাভাবিকভাবে অন্য কোন সম্পর্কে জড়াতে চাননা ! কারন এতে তার মনের শান্তি তো নষ্ট হয়ই,ক্যারিয়ারে বিরূপ প্রভাব পরে ও সামাজিক ভাবে হেয় হতে হয়! বুদ্ধি লোপ পেয়ে একান্ত মরিয়া না হয়ে আমার স্বামী বা কোন স্বামী এমন কিছু করবেন না ! কিন্তু এমন কিছু কি আছে যা কোন স্বামীকে এমন সম্পর্কে প্রলুব্ধ করতে পারে ! নিজেকেই প্রশ্ন করি-
* আমি কি স্ত্রী হিসেবে ভাল ?
*আমি কি স্বামীর মানসিক ও শারীরিক চাহিদা পূরনে গাফিলতি করি ?
*আমি কি নিজের ক্যারিয়ার, সংসার বা সন্তান নিয়ে এতই ব্যস্ত যে তার জন্য আমার কোন আলাদা সময় নেই ?
*আমি কি সারাক্ষন তাকে সন্দেহ করি, গতিবিধির উপর নজরদারি করি?
*আমি কি তাকে কোন নিজস্ব সময় দেই না যেন সে নিজের মত করে বন্ধুদের সাথে সময় কাটাতে পারে ?
*তার সাথে আমার সব আলোচনা কি আলু ,পটল নিয়ে ?
*আমি কি তার পরিবার ও আমার পরিবার নিয়ে সারাক্ষন তুলনামূলক সমালোচনায় মুখর?
*আমাদের মধ্যে কি দূরত্ব আছে যেখানে তৃতীয় একজনের জায়গা হবে?
*সে কি এমন জায়গায় কাজ করে যেখানে নারীদের সাথে অবাধ মেলামেশার সূবর্ণ সুযোগ রয়েছে!?
ভাবতে বসি .. নিজেকে শোধরানোর পণ করি ! আজ সকালে হাসপাতালে যাবার জন্য তৈরী হয়ে চৌধুরী সাহেবের কাছে যখন বিদায় নিচছি তখন দেখি সে আর সব দিনের মতো আমার মুখের দিকে তাকিয়ে নেই . অন্যমনস্ক হয়ে কি যেন ভাবছে ! টেনশনে পরে যাই , তবে কি কোথাও বাজছে অদৃশ্য ঘন্টা ???এমন যদি হয়েও যায় আমি চৌধুরী সাহেবকে হত্যা করবো না বা আমিও আত্নহত্যা করবো না কারন নির্মম হলেও সত্যি -এ পৃথিবীতে কেউই অপরিহার্য নয় ! লেখা : সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর ফেসবুক টাইমলাইন থেকে নেওয়া।
