ঈদের দ্বিতীয় দিনে জাতীয় চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের ঢল

0
238
728×90 Banner

এস,এম,মনির হোসেন জীবন : পবিত্র ঈদুল আজহার পর দিন আজ রাজধানীর মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানায় নারী শিশু সহ সর্বস্তরের বিনোদন প্রেমিক মানুষের ঢল নেমেছিল। এছাড়া ঈদের দ্বিতীয় দিনে দর্শনার্থীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে জাতীয় চিড়িয়াখানা।
মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকেই শিশু বৃদ্ধসহ সব বয়সী দর্শনার্থীর ঢল নামে ঢাকা জাতীয় চিড়িয়াখানায়। দুপুর গড়াতে এর সংখ্যা ক্রমে ক্রমে বাড়তে থাকে।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় চিড়িয়াখানায় সরজমিনে ঘুরে বিনোদন প্রেমিক দর্শনার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, চিড়িয়াখানার প্রধান ফটকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট নিচ্ছেন সকল বয়সীর দর্শনার্থীরা। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ঈদে দ্শনার্থী বেড়ে যাওয়ায় বাড়ানো হয়েছে টিকিট কাউন্টার, প্রবেশের পথ। ভেতরে প্রতিটি পশুর খাঁচার সামনেই মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে জিরাফ, সিংহ ও ভারতীয় সাদা বাঘ, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিতা বাঘ,হলিণ আর বানরের খাঁচার সামনে শিশুদের ইপচে পড়া ভীড় ছিল।
বিনোদন কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, আজ ঈদের দ্বিতীয় দিনে সকাল ৮টা থেকে চিড়িয়াখানার প্রবেশ পথ খোলা হলেও তার আগে থেকেই অসংখ্য নারী, পুরুষ ও শিশুরা জাতীয় চিড়িয়াখানা দেখতে রাজধানী ও তার আশ পাশের এলাকা গুলো থেকে ছুটে আসে। সেকারণে দর্শনার্থীদের ভিড়ে মিরপুর চিড়িয়াখানা রোডে যানজট লেগে যায়। জাতীয় চিড়িয়াখানায় বর্তমানে ১৩৭ প্রজাতির ২৭৬২টি প্রাণি রয়েছে। বিভিন্ন প্রজাতির পশুপাখির মধ্যে রয়েছে হরিণ, বাঘ, চিতা বাঘ, বানর, ভাল্লুক, সিংহ, হাতি, জলহস্তি, ঘোড়া, জিরাফ, জেব্রা, মায়া হরিণ, সাদা হংস, উট, বানর, বনগরু, শিয়াল, অজগর, ময়ূর, কাকাতুয়া, উটপাখি, প্যাঁচা, হুতুমপ্যাঁচা, টিয়া ও ময়না।
জাতীয় চিড়িয়াখানার কিউরেটর মো: নজরুল ইসলাম আজ জানান, দর্শনার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে চিড়িয়াখানায় ঘোরাঘুরি করতে পারেন এবং ছিনতাইয়ের ঘটনা না ঘটে সেজন্য ঈদে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দায়িত্বে রয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ, র‌্যাব, আনসার, পোশাকধারী পুলিশ ও চিড়িয়াখানার নিজস্ব নিরাপত্তা সদস্য। এছাড়া দর্শনার্থীদের সুবিধায় কর্মকর্তা-কর্মচারীর সমন্বয়ে ১৫টি মনিটরিং সাব-কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা সার্বক্ষণিক ভাবে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করছেন।
উত্তরা থেকে ঘুরতে আসা শিশু সাব্বির আহমেদ রাফির বাবা মো: গিয়াস উদ্দিন জানান, আমার ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে চিড়িয়াখানা দেখতে এসেছি। ঈদের সময় ভীড় বেশি থাকে। ঈদে এটা একটি বাড়তি আনন্দ। এখানে নানান প্রজাতির প্রাণি দেখে প্রাণচঞ্চল হয়ে উঠেছে ছেলে ও স্ত্রী। তা দেখে নিজেরও ভীষণ ভালো লাগছে। পাঠ্যপুস্তকের বাইরে প্রত্যেকটি প্রাণির সঙ্গে পরিচয়ের বাস্তব অভিজ্ঞতা শিশুদের জন্য ভীষণ দরকার বলে মনে করেন এ জাতীয় চিড়িয়াখানায় আসা সর্বস্তরের অভিভাবক ও সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে, ঈদ উপলক্ষে রাজধানীর হাতিরঝিলও সেজেছে নতুন সাজে। নতুন সাজে প্রস্তুত করা হয়েছে চক্রাকার বাস ও ওয়াটার বোট। রাজধানীর শ্যামপুরে অবস্থিত বুড়িগঙ্গা ইকোপার্কে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়তে দেখা গেছে। পার্কে বসে অনেককেই গল্পে মশগুল থাকতে দেখা গেছে। এছাড়া সায়েদাবাদের ওয়ান্ডারল্যান্ড এবং ঢাকার অদূরে আশুলিয়ার ফ্যান্টাসি কিংডম, নন্দন পার্ক ও সোনারগাঁয়ের লোক ও কারুশিল্প জাদুঘরে মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগের জন্য ভিড় ছিল ।

Print Friendly, PDF & Email
728×90 Banner

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here