
আবির হোসাইন শাহীন প্রতিবেদক: দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা প্রায় ৫০ লক্ষ। ক্রমাগতভাবে বেকারত্বের সংখ্যা দিনের পর দিন বাড়তেছে। সরকারি চাকরি পাওয়া তো এখন সোনার হরিণ। কিন্তু প্রাইভেট চাকরি পাওয়া কিন্তু সোনার হরিণের থেকে কম নয়। মাধ্যম ছাড়া প্রাইভেট জব হয়না ।প্রাইভেট চাকরিগুলো বেশির ভাগই লবিং এর মাধ্যমে হয়ে থাকে। কিছু কিছু কোম্পানি আগে নিয়োগ দেয় পরে বিজ্ঞপ্তি দেয়।শুধু শুধু লোক দেখানো ও কোম্পানির প্রচারের জন্য ইন্টারভিউ নেওয়ার কোন মানে হয়। বেকারদের আবেগ নিয়ে আর কত খেলবেন আপনারা যদি লবিং এ নিয়োগ দিবেন কেন সাধারণ আবেদনকারীকে শুধু শুধু ঘন্টার পর ঘন্টা দিনের পর দিনের পর দিন অপেক্ষা করিয়ে বসিয়ে রাখেন। এভাবে বেকারদের সাথে প্রতারণার করার কোন মানে হয়না ।কিছুদিন আগের ঘটনা একটি সুনামধন্য ফ্যাক্টরিতে কিছু আই ই অভিজ্ঞতা সম্পন্ন লোকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয় ৫ জন লোকের বিপরীতে ৫০ জন লোক ইন্টারভিউয়ে অংশগ্রহণ করে।সারাদিন বসিয়ে রেখে বিকাল ৫টার দিকে লোক দেখানো ইন্টারভিউ নিয়ে সবাইকে বলে ফোনে জানিয়ে দেয়া হবে।পরে লোক মারফত শুনলাম কাউকে নেয়নি তাহলে শুধু শুধু সারাদিন বসিয়ে রেখে বিড়ম্বনা করানোর কোন মানে হয়। কিছুদিন পরে ওই ফ্যাক্টরিতে আবার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়। গত ২২ তারিখে এক ফ্যাক্টরিতে আই ই অভিজ্ঞতা সম্পন্ন লোকদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বিপরীতে ২০ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করে। সারাদিন বসিয়ে রেখে সন্ধ্যার পরে তাদেরকে বলা হয় ফোন করে জানিয়ে দেয়া হবে।২৭ তারিখে বাছাইকৃতদের মধ্যে ৭ জনকে আবারো ডাকা হয় সকাল ১১ টার দিকে সবাই সঠিক সময়ে উপস্থিত হলেও একটা ছেলে ১ টার দিকে আসে।এর মধ্যে একটা ছেলে ওইদিন প্রথম ইন্টারভিউ দিতে আসে।দুপুর পযন্ত বসিয়ে রেখে বলা হল আপানারা লাঞ্চ করে আসেন।যথারিতি লাঞ্চ শেষ করে সবাই আসল।৩.৩০ মিনিট সময় থেকে সবাইকে ডাকা শুরু হল।সবার লাস্ট যে ছেলেটা আসল তাকে সবার আগে ডাকা হল।পর্যায়ক্রমে সবার সাক্ষাৎকার নেওয়া হলো সবাইকে বলা হল ফোনে জানানো হবে।গোপনসংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারলাম যে ৮ জনের মধ্যে ৪ জনকে লবিং এর মাধ্যমে আগেই নিয়োগ দিয়েছে কতৃপক্ষ।আর আজকে যে নতুন ছেলেটা আসছে সে এজিএম এর সাথে জব করার কারনে কালকে প্রথম আসলেও তার জব হয়। অর্থাৎ যে চার জন লবিং করেছে তাদের কে ফোন করা হইছে বাকি চারজনের লবিং না থাকার কারণে তাঁদেরকে ডাকা হয়নি।অথচ লবিং ছাড়া ছেলে গুলো বেশি অভিজ্ঞ ও মেধাবী ছিল।শুধুমাত্র লবিং নামক মরিচিকার জন্য তাদের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। এধরণের লোক দেখানো ইন্টারভিউ নেওয়ার কোন মানে হয়।ইন্টারভিউ এর নামে প্রতারণা আর কতদিন চলবে আর কতদিন বেকারদের চোখের জল আবেগ নিয়ে খেলা করবে এ প্রশ্ন সকলের।
