শাহজালালে সোনা উদ্ধারের ঘটনায় বিমানের মেকানিকের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ

0
240
728×90 Banner

এস,এম,মনির হোসেন জীবন : রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মাস্কট থেকে চট্টগ্রাম হয়ে ঢাকায় আসা বাংলাদেশ বিমানের টয়লেট থেকে ১১০পিস সোনার বার পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছে ঢাকা কাস্টম হাউসের বিমানবন্দর প্রিভেনটিভ টিমের সদস্যরা। এঘটনায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এয়ারক্রাফট মেকানিক মোহাম্মাদ আফজাল হোসেন হাওলাদারকে আটক করা হয়েছে। স্বর্ণ চোরাচালানে ব্যবহৃত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ‘অরুণ আলো’ এয়ারক্রাফটটিও আটক করা হয়েছে। ৬টি বান্ডিলের ভেতরে কালো স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো ১০ তোলা ওজনের ১১০ পিস স্বর্ণবার জব্দ করা হয়। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের মোট ওজন ১২ কেজি ৭৬ গ্রাম। যার বাজার মূল্য প্রায় ৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।
এদিকে, বিমানবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: নূরে আযম মিয়া আজ দুপুরে জানান, শাহজালালে ১২ কেজি ৭৬ গ্রাম ওজনের ১১০ পিস সোনা চোরাচালান মামলার আসামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এয়ারক্রাফট মেকানিক মোহাম্মাদ আফজাল হোসেন হাওলাদারকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আজ সকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ওসি জানান, জিঞ্জাসাবাদের জন্য আদালত তার বত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।
মঙ্গলবার দুপুরে বিজি-১২২ মাস্কট থেকে চট্টগ্রাম হয়ে ঢাকায় আসা বিজি-১২২ বিমানের ২১ নম্বর সিটের পাশে টয়লেটের ভেতর থেকে এসব সোনা উদ্বার করা হয়।
ঢাকা কাস্টমস হাউসের উপ-কমিশনার অথোলো চৌধুরী আজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাস্কট থেকে চট্টগ্রাম হয়ে বাংলাদেশ বিমানের বিজি-১২২ নম্বরের উড়োজাহাজটি ঢাকা শাহজালাল বিমানবন্দরে এসে অবতরণ করে। তখন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা কাস্টম হাউসের বিমানবন্দর প্রিভেনটিভ টিমের সদস্যরা জানতে পারে যে ওই বিমানের সোনার একটি বড় চালান আদান প্রদান করা হবে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে প্রিভেনটিভ টিমের সদস্যরা বাংলাদেশ বিমানের বিজি-১২২ ফ্লাইটটি অবতরনের পর ঝটিকা অভিযান চালায়। পরে ওই বিমানের ২১ নম্বর সিটের পিছনে থাকা টয়লেটের টিস্যু বক্সের নিচের একটি গোপন জায়গা থেকে কালো স্কচটেপে মোড়ানো স্বর্ণের ৬টি বান্ডিল উদ্ধার করা হয়।
অথেলো আরও জানান, উদ্ধারকৃত বান্ডিলগুলো পরবর্তী সময়ে কাস্টমস ব্যাগেজ কাউন্টারে নিয়ে আসা হয়। পরে বান্ডিলগুলোর ভেতর থেকে প্রতিটি ১০ তোলা ওজনের মোট ১১০টি স্বর্ণবার উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের মোট ওজন ১২.৭৬ কেজি এবং আনুমানিক বাজারমূল্য ৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।
এ ঘটনায় ‘কাস্টমস আইন-১৯৬৯’ এবং ‘স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট-১৯৭৪’ অনুযায়ী বিমানবন্দর থানায় মামলা করাসহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
এদিকে, বিমানবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: নূরে আযম মিয়া আজ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
ওসি জানান, মামলার আসামীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় ‘কাস্টমস আইন-১৯৬৯’ এবং ‘স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট-১৯৭৪’ অনুযায়ী বিমানবন্দর থানায় মামলা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
728×90 Banner

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here