
ডেইলি গাজীপুর প্রতিবেদক: গাজীপুরের টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন গাজীপুরা পদ্মা বেকারীতে এক শ্রমিকের রুমের ভিতর গণধর্ষণের স্বীকার হয়েছেন। এ ঘটনায় ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি বলেন, আমার মেয়ে সাতাইশ মন্ডল গার্মেন্টসে চাকুরী করে। খরতৈল বাবুল বেকারীর কর্মচারী ফরিদের সাথে মেয়ের পূর্ব পরিচিতি। গত ২৩ নভেম্বর ফরিদ আমার মেয়েকে আনুমানিক রাত ১০ঘটিকার সময় মোবাইল ফোনে ডেকে গাজীপুরা পশ্চিম পাড়া পদ্মা বেকারীর সামনে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকে উৎপেতে থাকা পরিকল্পনামাফিক পদ্মা বেকারীর কর্মচারী হাবিবুর রহমান ও বাবু মিজি ফরিদকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে জোরপূর্বক বাবু মিজির রুমে নিয়ে যায়। সেখানে জোরপূর্বক ইচ্ছার বিরুদ্ধে বাবু মিজির সহযোগিতায় প্রথমে হাবিবুর রহমান ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে হাবিবুরের সহযোগিতায় বাবু মিজি ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে আমার মেয়ের আত্মচিৎকারে প্রতিবেশী লোকজন এসে উদ্ধার করে এবং ধর্ষণকারীরা দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। এ ঘটনার বিষয়ে আমার মেয়ে আমার কাছে জানাইলে আমার পরিবারের সদস্যদের সাথে আলোচনা করিয়া টঙ্গী পশ্চিম থানায় অভিযোগ দায়ের করি। অভিযুক্ত ১নং হাবিবুর রহমান গাজীপুরা সিরাজ গাজীর ছেলে। ২নং বাবু মিজি চাঁদপুর জেলার ছেংঙ্গারচর থানার পাচানি গ্রামের মৃত মান্নান মিজির ছেলে। গত ২৪ নভেম্বর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সারসি অভিযান চালিয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানায় গ্রেফতার করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৯ এর ৩ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। টঙ্গী পশ্চিম থানা মামলা নং-১৬। ঘটনার সূত্রপাত ধরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পদ্মা বেকারীর মালিক জামাই আলী এই ঘটনায় রহস্যজনকভাবে পলাতক রহিয়াছে এবং এলাকাবাসীর কাছে জানা যায়, এই বেকারীটি সম্পূর্ণ অবৈধভাবে পরিচালনা করিতেছে এবং বেকারীর এই বাড়িটি রাজউকের নিয়ম বহিভূতভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। উক্ত বাড়িটিতে গ্যাস সংযোগ অবৈধ রহিয়াছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ প্রসঙ্গে টঙ্গী পশ্চিম থানা ওসি এমদাদুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে ধর্ষণের ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করেন।
