ডা. রাজনের মরদেহ সুরতহাল রিপোর্টে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি

0
212
728×90 Banner

ডেইলি গাজীপুর প্রতিবেদক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ওরাল এ্যান্ড ম্যাক্সিলোফিসিয়াল সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রাজন কর্মকারের মরদেহে কোনো আঘাতে চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এমনকি তার চোখ মুখ, নাক কান ছিল স্বাভাবিক। পুলিশের সুরতহাল ও পোস্টমটেম রিপোর্টে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানার এস আই মো. জামিল হোসাইনের তৈরি করা ডা. রাজন কর্মকারের সুরতহাল রিপোর্টে বলা হয়েছে, মৃতের পরনে কালো রং এর প্যান্ট, কোমড়ে বেল্ট এবং প্যান্টের নিটে আন্ডার ওয়্যার পরা ছিল। মৃতের দুই হাত শরীরের দুই পার্শ্বে লম্বাভাবে খোলা অবস্থায় আছে। পা দুইটা লম্বালম্বি। মৃতের মাথার চুল কালো ও ক্কোড়ানো যারা লম্বা দুই ইঞ্চি। কান, নাক স্বাভাবিক, চোখ বন্ধ এবং স্বাভাবিক। বুক, পেট ও নাভী স্বাভাবিক। মৃতের প্যান্ট ও আন্ডারওয়ার খুলে দেখা গেছে পুরুষাঙ্গও স্বাভাবিক। মৃতের শরীর উল্টাইয়া-পাল্টাইয়াও অন্য কোথাও কোনো দাগ দেখা যায়নি।
জানা গেছে, হঠাৎ করেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ডা. রাজনের মৃত্যৃই তাদের সাজানো সংসারটাকে তছনছ করে দিয়েছে। শোকাহত হয়ে খাদ্যমন্ত্রীর মেয়ে ঘরের প্রতিটি কোণে তার প্রিয় মানুষটিকে খুঁজে বেড়াচ্ছে। এদিকে জামাতার মৃত্যৃতে শোকাহত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন খাদ্যমন্ত্রী। তিনি যেনো কোনোভাবেই অকালে তার মেয়ের এই অপূরণীয় ক্ষতি মেনে নিতে পারছেন না। প্রতিনিয়ত নিজের মেয়েকে সান্ত¡না দিতে গিয়ে চোখের জল ফেলছেন নীরবে।
এদিকে জামাতার অকাল মৃত্যৃতে শোকাহত খাদ্যমন্ত্রী ও তাঁর পুরো পরিবার শোকাহত, তখন ডা. রাজনের মৃত্যৃ নিয়ে জল ঘোলা করে চলেছে একটি গোষ্ঠি। তারা খাদ্যমন্ত্রী ও তার পরিবারকে বেকায়দায় ফেলতে ডা. রাজনের মৃত্যৃ নিয়ে ঘৃণ্য খেলায় মেতে উঠেছেন। তারা ডা. কৃষ্ণা মজুমদারের নামে নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগ আনছেন।
অন্যদিকে ডা. রাজনের পরিবারের পক্ষ থেকে ময়নাতদন্তের দাবির প্রেক্ষিতে ডা. রাজনের মনদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে ময়নাতদন্ত শেষে ডা. রাজন কর্মকারের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ। ডা. রাজনের পোস্টমর্টেম শেষে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া জানিয়েছেন ডা. রাজনের পোস্টমর্টেম আমাদের এখানে সম্পন্ন হয়েছে। আমাদের ফরেনসিক বিভাগ তার পোস্টমর্টেম করেছে। তার শরীরের বাইরে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ওরাল অ্যান্ড ম্যাক্সিলোফিসিয়াল সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রাজন কর্মকার ছিলেন। তিনি খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের মেয়ে ডা. কৃষ্ণা মজুমদারের স্বামী। ডা. কৃষ্ণা মজুমদারও একই মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। গত ১৬ মার্চ রাত ৩টার দিকে ডা. রাজন কর্মকার হঠাৎ করেই হৃদরোগে আক্রানাত হলে তাকে দ্রæত রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যৃর কারণ হিসেবে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়াকে দায়ী করেন। এ বিষয়ে স্কয়ার হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক আসাদুজ্জামান বলেন, রাত পৌনে ৪ টার দিকে ডা. রাজনকে পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তাকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর লাইফের কোনো সাইন পাওয়া যায়নি। তার শরীরে কোনো জখম ছিল না। প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে উনার মৃত্যু হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
728×90 Banner

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here