স্বপন সরকার, কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈরে বাদী মামলা প্রত্যাহার না করায় আসামী তার স্ত্রীকে দিয়ে বাদীর নামে ধর্ষণ চেষ্টা মামলা দায়ের করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে । ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াকৈর উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়নের জালুয়াভিটি এলাকায়।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, উপজেলার জালুয়াভিটি এলাকার নাসির উদ্দিনের ছেলে আবু বকর সিদ্দিকের সাথে জমি জমাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত তার প্রবিবেশী আমিন উদ্দিনের ছেলে মনির হোসেনের পরিবারের সাথে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে গত মার্চ মাসে দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ হলে আবু বকর সিদ্দিক ও তার লোকজন প্রতিপক্ষ মনির হোসেন ও তার স্ত্রী বিউটি আক্তারকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এ ঘটনায় মনির হোসেন কালিয়াকৈর থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে পুলিশ আসামী আবু বকর সিদ্দিককে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। পরে জেল থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে সে বাদী মনির হোসেনকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। মামলাটি তুলে না নেওয়ায় আসামী আবু বকর নিজের মা,চাচীদের স্বাক্ষী বানিয়ে স্ত্রী এলমা আক্তার(২৬)কে দিয়ে ধর্ষণ চেষ্টার নাটক সাজিয়ে গাজীপুর আদালতে একটি মামলা(নং-১১১/২৩) দায়ের করেন। আদালত মামলাটি কালিয়াকৈর উপজেলা আনসার ও ভিডিপি অফিসারকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ প্রদান করেছেন।
আবু বকর সিদ্দিকের বাড়ীতে গিয়ে তার কাছে মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, এ বিষয়ে তিনি কিছুই বলবেন না এবং মামলার স্বাক্ষীদেরকে তিনি চিনেন না বলে গামছা দিয়ে মুখ ঢেকে মামলার বাদী তার স্ত্রী এলমাকে নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান।
মামলায় উল্লেখিত স্বাক্ষী আবুল সরকারের স্ত্রী কামরুন্নাহার জানান, “এ ঘটনার বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না,আমরা কিছু কইতে পারুম না”।
আবু বকর সিদ্দিকের দাদা আব্দুল মান্নান সরকার(৮০) জানান, “গত কয় মাস আগে ঝগড়া কইরা মনিরের মাথা ফাটাইছিল আবু বকর, হেই ঘটনায় মনির মামলা করছিল। তাই প্রতিশোধ নিতে গিয়া আবু বকর নিজের বউরে দিয়া মনিরের নামে মিথ্যা মামলা করছে। এলাকার কোন মানুষ কইয়া পারবো না এরকম কোন ঘটনা ঘটছে, সবই মিথ্যা”।
স্থানীয় মধ্যপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ডরে সদস্য হারুন উর রশিদ জানান, তাদের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে আমি অনেকবার চেষ্টা করেও মিমাংসা করতে পারিনি। ধর্ষণ বা ধর্ষণের চেষ্টার এমন কোন ঘটনা সম্পর্কে আমি অবগত নই।