ডেইলি গাজীপুর প্রতিবেদক: র্যাব-১ এর বিশেষ অভিযানে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে হতে মাদক ব্যবসায়ী চক্রের ০২ সদস্য গ্রেফতার ও ৪২৬ বোতল বিদেশী মদ এবং ৪০৫৬ ক্যান বিয়ারসহ মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত ০২ টি জীপ জব্দ করেছে।
আজ ২৬ ডিসেম্বর ভোরে র্যাব-১, উত্তরা, ঢাকা রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের পশ্চিমপার্শ্বে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কস্থ ওভার ব্রীজের নিচে পাকা রাস্তার উপর অভিযান পরিচালনা করে মাদক ব্যবসায়ী ১) মোঃ আব্দুলাহ আল মামুন (৩৯), পিতা- মৃত লুৎফুর রহমান, মাতা- মোছাঃ হামিদা বেগম, সাং- বেজপাড়া সঙ্করপুর, পোঃ যশোর, থানা- কোতয়ালী, জেলা- যশোর, বর্তমানে- তেজকুনি (ফার্মগেইট), থানা- তেজগাঁও, ডিএমপি, ঢাকা ও ২) মোঃ রাসেল হোসেন (২৮), পিতা- মোঃ মোফাজ্জাল হোসেন, মাতা- মোছাঃ রোকেয়া বেগম, সাং- ও পোঃ করপাড়া, থানা- রামগঞ্জ, জেলা- লক্ষীপুর, বর্তমানে- সড়ক ও জনপথ ষ্টাফ কোয়ার্টার, কল্যাণপুর, নাভানা সোসাইটির সামনে, থানা- মিরপুর, ডিএমপি, ঢাকা’দ্বয়কে গ্রেফতার করে। এসময় ধৃত আসামীদের নিজেদের চালিত জীপ দুটি তলাশী করে বিভিন্ন ব্রান্ডের ৪২৬ বোতল বিদেশী মদ, ৪০৫৬ ক্যান বিয়ার, ০২ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয় এবং মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত ০২ টি জীপ জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা একটি সংঘবদ্ধ মাদক ব্যবসায়ী চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা মাদকদ্রব্যের চালানগুলো বিভিন্ন পরিবহণে করে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট সরবরাহ করে। তারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ফাঁকি দিতে মাদক পরিবহনে নিত্য নতুন কৌশল অবলম্বন করে থাকে। এই চক্রের অন্যতম সদস্য রাজধানীর জনৈক মাদক ব্যবসায়ী। সে অবৈধভাবে মাদকদ্রব্য বিদেশী মদ ও বিয়ারের চালান তার সহযোগী ধৃত আসামী মামুন ও রাসেল এর মাধ্যমে রাজধানীসহ আশেপাশের এলাকায় নিয়ে এই সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যদের নিকট খুচরা ও পাইকারী মূল্যে বিক্রয় করে বলে জানায়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মামুন’কে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, সে পেশায় একজন গাড়ী চালক। সে প্রায় ১৬/১৭ বছর যাবত রাজধানীতে গাড়ী চালায়। গাড়ী চালনার পাশাপাশি সে দীর্ঘদিন যাবত মাদক ব্যবসায়ের সাথে জড়িত। রাজধানীর জনৈক মাদক ব্যবসায়ীর মাধ্যমে সে মাদক ব্যবসা শুরু করে বলে জানায়। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ফাঁকি দিতে জীপের মধ্যে বিশেষ কৌশলে মাদক পরিবহণ করত বলে জানায়। রাজধানীতে মাদক পরিবহনে মাদক ব্যবসায়ীরা তাকে ৩০/৩৫ হাজার টাকা করে দিত বলে ধৃত আসামী জানায়।
গ্রেফতারকৃত আসামী রাসেল’কে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, সে পেশায় একজন গাড়ী চালক। সে প্রায় ০৫/০৭ বছর যাবত রাজধানীতে গাড়ী চালায়। সে ধৃত আসামী মামুন এর মাধ্যমে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। মাদক পরিবহনে সে ধৃত আসামী মামুন এর সহযোগী হিসেবে কাজ করে। রাজধানীতে মাদক পরিবহনে মাদক ব্যবসায়ীরা তাকে ৩০/৩৫ হাজার টাকা করে দিত বলে ধৃত আসামী জানায়।
উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য এবং গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।