এস,এম,মনির হোসেন জীবন : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নির্বাচিত মেয়র মো: আতিকুল ইসলাম বলেছেন, রাজধানীতে মশার লার্ভা নিধনে এবার হবে ডিএনসিসি’র ‘ফাইনাল’ অভিযান।
মেয়র বলেন, এডিস ‘মশার লার্ভা ধ্বংস এবং পরিচ্ছন্নতার জন্য চিরুনি অভিযানের প্রথম ধাপ ছিল সেমিফাইনাল। আজ থেকে দ্বিতীয় পর্যায়ের চিরুনি অভিযান শুরু হলো, এবার হবে মশার লার্ভা নিধনে ফাইনাল অভিযান।
আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রথম পর্যায়ে বাসা-বাড়িতে এডিসের লার্ভা পেলেও ছাড় দেওয়া হয়েছে, এবার আর কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। এবার হবে জরিমানা।
তিনি আজ রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ২ নম্বর গেট থেকে মশার লার্ভা ধ্বংসে দ্বিতীয় দফার চিরুনি অভিযানের উদ্বোধনকালে মেয়র এসব কথা বলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই, সচিব রবীন্দ্র শ্রী বড়ুয়া, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মঞ্জুর হোসেন, স্থানীয় কাউন্সিলর জামাল মোস্তফা সহ ডিএনসিসির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও অন্যান্য সংশ্লিস্টরা ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিএনসিসি’র মেয়র আতিক ইসলাম বলেন, প্রথম পর্যায়ের অভিযানের সময় আমরা প্রায় ৬৫ হাজার বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পেয়েছি। তখন সেসব বাড়িতে স্টিকার লাগানোসহ তাদের সাবধান করা হয়েছে। সে সব বাড়িতে আমরা আবার আসবো, তখন যদি লার্ভা বা জমে থাকা পানি অথবা অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ পাওয়া যায় তাহলে জরিমানা করা হবে।
আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা এ শহরটাকে পরিচ্ছন্ন রাখতে চাই, কিন্তু এত বড় পরিসরে সিটি কর্পোরেশনের একার পক্ষে তা সম্ভব নয়। এ জন্য প্রতিটি নাগরিকের সহযোগিতা প্রয়োজন। জনগণ একটু সচেতন হলেই এটা করা সম্ভব। এ চিরুনি অভিযানে আমরা প্রতিটি ওয়ার্ডকে ১০টি ভাগে ভাগ করে পরিচ্ছন্নতা এবং এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসে কাজ করব। এছাড়া ওই ১০ ভাগকে আবার ১০টি সাব ভাগে ভাগ করে মোট ৩৬০টি বøকে আমরা দ্বিতীয় পর্যায়ের চিরুনি অভিযান শুরু করেছি মেয়র তিনি আরও বলেন, আজ রোববার থেকে আমরা দ্বিতীয় পর্যায়ের চিরুনি অভিযান শুরু করলাম। এবার আর কোনও মাফ নেই, জরিমানার আওতায় আনা হবে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সুত্রে জানা যায়, গত ২৫ আগস্ট থেকে মশা মারতে চিরুনি অভিযান শুরু করেছিল ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। সেই অভিযানের ১২ দিনে ৩৬টি ওয়ার্ডে সর্বমোট ১ লাখ ২১ হাজার ৫৬০টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১ হাজার ৯৫৭টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পেয়েছিল ডিএনসিসি। এছাড়া ৬৭ হাজার ৩০৬টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার বংশবিস্তার উপযোগী স্থান বা জমে থাকা পানি পেয়েছিল।