
ডেইলি গাজীপুর প্রতিবেদক : গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য অবিলম্বে রেশনিং ব্যবস্থা চালু করে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য-নিরাপত্তা ও পেশাগত সুরক্ষায় নিয়মিত বেতনভাতার পাশাপাশি আপদকালীন প্রণোদনা নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সহৃদয়মূলক সহানুভূতি ও সানুগ্রহ কামনা করে আজ রোববার চিঠি পাঠিয়েছেন জাতীয় সাংবাদিক সোসাইটি।
আজ ২৬ এপ্রিল ( রোববার) বিকেল ৩টা সময় জাতীয় সাংবাদিক সোসাইটি চেয়ারম্যান লায়ন এড. এম এ মজিদ ও মহাসচিব নাসির উদ্দীন বুলবুল স্বাক্ষরিত চিঠি মহাসচিবের ই-মেইল থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মাননীয় তথ্যমন্ত্রীকে প্রেরণ করেন।


নেতৃবৃন্দ অবাধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য-নিরাপত্তা, পেশাগত সুরক্ষা, রেশনিং ব্যবস্থা চালু ও নিয়মিত বেতনভাতার পাশাপাশি আপদকালীন প্রণোদনা নিশ্চিত করার জন্য প্রধান মন্ত্রীর সুদৃষ্টি ও সানুগ্রহ কামনা করে বলেন,নাগরিকদের তথ্যপ্রাপ্তি ও জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে চরম স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়েই নিরলস কাজ করছেন সংবাদকর্মীরা। বিশেষ করে ফ্রন্টলাইন সাংবাদিকদের অনেককেই ন্যূনতম সুরক্ষা ছাড়াই কাজ করতে দেখা যাচ্ছে, যা তাদের নিজেদের ও সামাজিক সংক্রমণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। সংবাদক্ষেত্র ও সংবাদকক্ষের একজন আক্রান্ত হলে তা ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও আছে। ইতিমধ্যেই কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) আক্রান্ত গণমাধ্যমকর্মীর তালিকা র্দীঘ হচ্ছে, প্রায় শতাধিককর্মী হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন। এ অবস্থায় অবিলম্বে গণমাধ্যমকর্মীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের বিনীত অনুরোধ জানান।
বর্তমান এই সঙ্কটে দেশের সর্বস্তরের জনগণ সময় কাটাচ্ছেন প্রিন্টিং ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া পড়ে ও দেখে। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ২৪ ঘন্টা বিরামহীনভাবে সংবাদকর্মীরা এই কাজগুলো করে যাচ্ছেন। অথচ এত ত্যাগের বিনিময়ে সংবাদকর্মীরা তেমন কোন সুযোগ-সুবিধা না পাওয়া তাদের পুঞ্জীভূত বঞ্চনার কথা প্রধান মন্ত্রী জ্ঞাত আছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাংবাদিকরা তাদের মাসিক বেতনের বাইরে প্রভিডেন্ড ফান্ড, গ্র্যাচুইটি বা স্বাস্থ্য বীমার মতো সুবিধা পান না। নিয়মিত বেতন ভাতাও পান না। আবার এদিকে অনেক গণমাধ্যমকর্মী এবং মালিকপক্ষের অনেকেই বেশ কৌশলে দীর্ঘদিন সংবাদকর্মীদের বঞ্চিত করে আসছেন। করোনা সংক্রমণের বেশ আগে থেকেই খরচ কমানোর অজুহাতে। আবার বিভিন্ন অজুহাতে গণমাধ্যম সাংবাদিক ছাঁটাইও করেছেন মালিক পক্ষ। এই বাস্তবতার কোনো পরিবর্তন যে এখনও হয়নি তার প্রমাণ এই দুর্যোগকালেও দু’টি টেলিভিশন বেশ কিছু গণমাধ্যমকর্মী ছাঁটাই করেছে। কোনো কোনো চ্যানেলে এখনও নিয়মিত বেতন দেওয়া হয় না। অথচ এটি অজানা নয় যে, বেশিরভাগ গণমাধ্যমের বিনিয়োগে রয়েছে ধনাঢ্য ও প্রভাবশালী বিভিন্ন শিল্পগোষ্ঠী। এই দুর্যোগ তাদের জন্য নিজেদেরকে সামাজিক দায়িত্ববোধসম্পন্ন ব্যবসায়ী হিসেবে প্রমাণ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তাই গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য-নিরাপত্তা, পেশাগত সুরক্ষা ও নিয়মিত বেতনভাতার পাশাপাশি আপদকালীন প্রণোদনা নিশ্চিত করতে মালিকপক্ষের পাশাপাশি সরকারকেও এগিয়ে আসতে হবে।
সাংবাদিকরা তাদের নিজেদের মানসম্মানের কথা চিন্তা করে তাদের নিদারুণ কষ্টের কথা না পারছেন কাউকে বলতে, না পারছেন সইতে। সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডগুলো সাংবাদকর্মীরাই তুলে ধরেন। যেহেতু সাংবাদিকরা রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ সেহেতু সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতা বাঁচিয়ে রাখার জন্য সংবাদকর্মীদের সুরক্ষা ও প্রনোদনার আশু ঘোষণার অপেক্ষায় অধীর আগ্রহে রয়েছে।






