অবশেষে বিমানের দুই ট্রাফিক হেলপার কারাগারে

0
164
728×90 Banner

এস,এ,মনির হোসেন জীবন : ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় চার কেজি ওজনের ৩৮ পিস সোনার বারসহ গ্রেফতার হওয়া বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দুই ট্রাফিক হেলপার এমদাদ হোসেন চৌধুরী ও মো. আবদুর রহিমকে অবশেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। ঢাকা মহানগর হাকিম শাহিনূর রহমান তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, শনিবার পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আসামিদের আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন বিমানবন্দর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কর্মকর্তা স ম কাইয়ুম। গত ১৪ জুলাই এই দুই আসামির ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
বিমানবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: নূরে আযম মিয়া আজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
শাহজালাল বিমানবন্দরে কর্মরত বিমানবন্দর অঅমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) এর মিডিয়া শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন শিমুল আজ জানান, গত ১৩ জুলাই দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে থাইল্যান্ড থেকে ঢাকায় আসা থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটের (টিজি ৩২১) কিছু মালামাল প্যালেটে করে বিমানবন্দরের ইম্পোর্ট কার্গোতে যায়। সেখান থেকেই গোপনে ৩৮ পিস সোনার বার নিজের হেফাজতে নেন বাংলাদেশ বিমানের ট্রাফিক হেলপার এমদাদ হোসেন চৌধুরীকে (৪৬)। এরপর তল্লাশি চালিয়ে তার কাছ থেকে ৩৮টি সোনার বার পাওয়া যায়। জব্দকৃত সোনার বাজারমূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা । পরবর্তী সময়ে তাকে সহায়তা করার জন্য মো. আবদুর রহিমকে আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক জিঞ্জাসাবাদে ধৃত বিমানের কর্মচারী এমদাদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তারা দু’জন বিমানের কার্গো হেলপার হিসেবে কর্মরত ছিল।
আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের চোরাচালানবিরোধী ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিমানবন্দর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কর্মকর্তা স ম কাইয়ুম আজ জানান, কর ফাঁকি দিয়ে চোরাই পথে স্বর্ণ পাচারের অভিযোগে বিমানবন্দর থানায় পুলিশ বাদী হয়ে এ মামলা করে।

Print Friendly, PDF & Email
728×90 Banner

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here