কারওয়ান বাজারে কাউকে চাঁদাবাজি- মাস্তানি করতে দেয়া হবে না —— স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

0
180
728×90 Banner

এস,এম,মনির হোসেন জীবন : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, রাজধানীর কারওয়ান বাজারে কাউকে চাঁদাবাজি-মাস্তানি করতে দেয়া হবে না। যেই চাঁদাবাজি করবেন তাদের বিরুদ্বে কঠোর প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এব্যাপারে কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা বলে হুশিয়ারী দেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার আগে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রতি মাসে একটা করে খুন হতো। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তা বন্ধ হয়েছে। সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি বন্ধ করেছি।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি সময়ে কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির কিছু কিছু খবর পাওয়া যাচ্ছে। আমি স্পষ্ট করে বলছি, চাঁদাবাজি- মাস্তানী করলে কারওয়ান বাজার ছেড়ে চলে যান।
তিনি আজ রোববার দুপুরে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন-বিরোধী সচেতনতামূলক সভা এবং পরিচ্ছন্নতা অভিযানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন ।
রাজধানীর বুড়িগঙ্গা নদীতে ৬/৭ ফুট শুধু পলিথিনের গার্বেজ রয়েছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, এব্যাপারে বিদেশ থেকে এক্সপার্ট আনা হচ্ছে। তবুও আমরা পুরোপুরি পারছি না। এর কারণ পলিথিন।
দেশে ক্যান্সার, কিডনি রোগী কেন বাড়ছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন,এর কারণ হল পলিথিন। মাছের ভেতরে পলিথিন ঢুকে গেছে। তিমি মাছ যখন ধরা পড়ে কিংবা উপকূলে চলে আসে তখন দেখা যায় পেটে পলিথিন আর পলিথিন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান সরকার পলিথিনের ব্যাপারে কঠোর হয়েছে। ঢাকা শহরের মূল সমস্যা আমরা গার্বেজ অপসারণ করতে পারছি না, ড্রেনগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, পানি নিষ্কাশন করা যাচ্ছে না। পলিথিন-বিরোধী আইন করেছে। কিন্তু কেউ আইন মানি না। আমরা এখন থেকে আরও কঠোর হবো। পলিথিন যাতে আমরা ব্যবহার না করি সে জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। আমরা পলিথিন আর ব্যবহার করব না।
মোহনা টিভির একজন সিনিয়র সাংবাদিক নিখোঁজ রয়েছেন। তাকে উদ্ধারের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ডিএমপি’র গুলশানের ডিসি মোস্তাক আহমেদকে ইতি মধ্যে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মোহনা টিভির সাংবাদিককে দ্রুত খুঁজে বের করার জন্য। আশা করছি দ্রুতই আমরা খুঁজে পাব।
পলিথিন-বিরোধী সচেতনতামূলক সভা এবং পরিচ্ছন্নতা অভিযানে সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, আগে পলিথিন ছিল না। চটের ব্যাগে বাজার করতে যেত মানুষ। সভ্যতার নামে পলিথিনের প্রসার ঘটে যা সভ্যতার জন্যই ক্ষতিকর। কিন্তু এরপরও পলিথিন ব্যবহার না কমে বরং বেড়েছে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু অর্ডিনেন্স আকারে করেছিলেন পানিদূষণ নিয়ন্ত্রণ আইন। বর্তমান সরকার পলিথিন নিষিদ্ধ করেছে। তবুও কেন আমরা নিষিদ্ধ জিনিস ব্যবহার করব? বিশেষ করে পলিথিনের শপিং ব্যাগ কোনোভাবে চলতে দেয়া যাবে না।
পলিথির বিকল্প ব্যাগ হিসেবে পাটের তৈরী সোনালী ব্যাগ বাজারে আসছে উল্লেখ করে পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আরও বলেন, সোনালী ব্যাগ উৎপাদনের জন্য মন্ত্রণালয় বরাদ্দ দিয়েছে। খুব শিগগিরই এটি বাজারে আসবে।
তিনি আর ও বলেন, জেল-জরিমানা দিয়ে আমরা পলিথিন বন্ধ করতে চাই না। ক্রেতা-বিক্রেতা সবাই পলিথিন পরিহার করুন, পরিবেশ বান্ধব বিকল্প ব্যবহার করুন। তাহলে পলিথিন চলবে না, উৎপাদনও হবে না।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার বলেন, পলিথিনের কারণে ড্রেনেজ সিস্টেম আজ অকার্যকর হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে একটু বৃষ্টিতেই পানি জমছে, জলাবদ্ধতার কারণ এই পলিথিন। পলিথিন সবার জন্য ক্ষতিকর।
উপমন্ত্রী আরও বলেন, এখন থেকে আমরা পলিথিন নয়, ব্যবহার করব সোনালী আশের ব্যাগ। তাহলে এইদেশে শুধু নয়, আন্তর্জাতিক বাজারেও পাটের বড় মার্কেট তৈরি হবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল্লাহ আল মোহসিন চৌধুরী বলেন, সারা পৃথিবীতে পলিথিন পরিহারের জন্য প্রচার-প্রচারণা, আইন করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে পলিথিনের ব্যবহার হঠাৎ বেড়েছে। পলিথিন ব্যবহারে অনেক বেশি ক্ষতি হয় মানবদেহে। ক্যানসারসহ মরণঘাতী অনেক রোগের কারণ হল পলিথিন।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে পলিথিন-বিরোধী সচেতনতামূলক সভা এবং পরিচ্ছন্নতা অভিযানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার ,পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল্লাহ আল মোহসিন চৌধুরী, দলীয় নেতাকর্মীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email
728×90 Banner

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here