রাজধানীতে ছুরিকাঘাতে মায়ের মৃত্যু : ছেলে আটক

0
250
728×90 Banner

এস.এম.মনির হোসেন জীবন : রাজধানীর যাত্রাবাড়ি থানার মীর হাজীরবাগ এলাকায় মাদকাসক্ত ছেলের ছুরিকাঘাতে মায়ের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের নাম সুরাইয়া আক্তার (৪৪)। এঘটনায় পুলিশ মৃত সুরাইয়া আক্তারের ছেলে সজীবকে (১৭) আটক করেছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) যাত্রাবাড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাজহারুল ইসলাম আজ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে এগারোটার দিকে মীর হাজীরবাগ চৌরাস্তা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ডিএমপি যাত্রাবাড়ি থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, যাত্রাবাড়ি থানার মীর হাজিরবাগ চৌরাস্তায় লাড্ডু মিয়ার বাড়িতে ছেলে সজীব (১৭)কে সাথে নিয়ে ভাড়া থাকতেন সুরাইয়া আক্তার। তিনি বাসা বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করে সংসার চালাতেন।
মীর হাজারীবাগ এলাকার লোকজন জানান, মৃত ওই নারীর ছেলে সজীব মাদকাসক্ত। রাতের বেলায় বাসার ভিতরে মাদক সেবন করার জন্য তার মায়ের কাছে টাকা দাবি করে। এক পর্যায়ে সজীব তার মাকে মারধর ও গালমন্দ সহ বিভিন্ন ধরনের অত্যাচার শুরু করে। পরে মা সহ্য করতে না পেরে রাস্তায় বেরিয়ে আসে। এসময় সজীব বাসা থেকে বের হয়ে রাস্তার এসে তার মা সুরাইয়াকে ছুরিকাঘাত করে। চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থল ছুটে এসে সজীবকে আটক করে। সজীবসহ গুরুতর আহত রক্তাত্ক অবস্থায় সুরাইয়াকে স্থানীয় লোকজন ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত সাড়ে ১২টার দিকে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় মৃত সুরাইয়া আক্তারের ছেলে সজীব (১৭)কে ঢামেক পুলিশ আটক করে । পরে তাকে ডিএমপি যাত্রাবাড়ী থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। নিহত সুরাইয়া আক্তার মাদারীপুর জেলার বাসিন্দা মৃত বিল্লাল হাউলদারের স্ত্রী। তিনি মীর হাজিরবাগে পরিবারের সঙ্গে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন ।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ পরিদর্শক মো: বাচ্চু মিয়া আজ জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে ।
এ ব্যাপারে ডিএমপি যাত্রাবাড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাজহারুল ইসলাম আজ জানান, মাদকাসক্ত সজীবকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তার মা হাসপাতালে মারা গেছে।
ওসি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, মাদকের টাকা না দেওযায় সজীব তার মাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে। এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
728×90 Banner

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here