‘স্বাস্থ্যবিধি মেনেই করোনা ভাইরাসকে প্রতিরোধ করা সম্ভব’

0
99
728×90 Banner

ডেইলি গাজীপুর ( সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ) : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত যেসকল রোগীরা সুস্থ হওয়ার পর অক্সফোর্ড-এ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাদের দ্বিতীয় ডোজ না নিলেও সমস্যা নাই। কারণ তাদের শরীরে এক ডোজ ভ্যাকসিনেই যথেষ্ট পরিমাণে এন্টিবডি তৈরি হতে যায়। তাই এসকল রোগীদের দ্বিতীয় ডোজ না নিলেও চলে। আজ রবিবার ২৩ মে ২০২১ইং তারিখে মাননীয় উপাচার্য মহোদয় তাঁর কার্যালয়ে একটি বেসরকারী টেলিভিশনে দেয়া এক সাক্ষাতকারে আরো বলেন, সঠিকভাবে নিয়মিত মাস্ক পরা, হাত ধোয়া ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার মাধ্যমেও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করা সম্ভব। মাননীয় উপাচার্য বলেন, যারা এ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে তাদের অন্য কোনো কোম্পানির ভ্যাকসিন দেয়া যায় কিনা তা নিয়ে ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন নিয়ে দুশ্চিন্তা কারণ নেই উল্লেখ করেন বলেন, প্রথম ডোজ নেওয়ার তিন থেকে চার মাস পরেও দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন নেওয়া যায়। ইতোমধ্যে যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন, আশা করছি, এসময়ের মধ্যেই তাদের এ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন দেয়া সম্ভব হবে। কারণ ভারত ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রসহ যেসকল দেশে যেসকল দেশে ভ্যাকসিন রয়েছে তা প্রাপ্তির জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ইতোমধ্যে যোগাযোগ করা হয়েছে। এছাড়াও ইতোমধ্যে চীনা কোম্পানি সিনোভেক উৎপাদিত ভ্যাকসিন পাওয়া গেছে। ফাইজার কোম্পানির ভ্যাকসিন, রাশিয়ার ভ্যাকসিন স্পুটনিক ভি পাওয়া যাবে। তাই ভ্যাকসিন নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।
‘বন্ধ্যাত্বের সমস্যা দূরীকরণে গবেষণা ও বিশ্বব্যাপী পারস্পরিক সহযোগিতামূলক কার্যক্রম জোরদার করতে হবে’
এদিকে ইনফার্টিলিটি বা বন্ধ্যাত্বের সমস্যা ও সমাধানের চ্যালেঞ্জসমূহ চিহ্নিত করা, উত্তরণের উপায় সমূহ খুঁজে বের করা সহ সর্বাধুনিক চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার বিষয়ে দেশী বিদেশী বিশেষজ্ঞদের অংশগ্রহণে ভারচুয়ালি আয়োজিত বৈজ্ঞানিক সেমিনারে অংশ নিয়ে মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বন্ধ্যাত্বের সমস্যা দূরীকরণে গবেষণা ও বিশ্বব্যাপী পারস্পরিক সহযোগিতামূলক কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। এক্ষেত্রে সর্বাধুনিক চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার মাধ্যমে নিঃসন্তান দম্পতিদের হাহাকার দূর করতে হবে। মাননীয় উপাচার্য বলেন, বিশ্বের ১৬৮ মিলিয়ন দম্পতি ইনফার্টিলিটির সমস্যায় ভূগছেন। দেখা যায় প্রতি ১০ দম্পতির এক ভাগের বন্ধ্যাত্বের কোনো না কোনো সমস্যা রয়েছে। যা বৈবাহিক জীবন, পারিবারিক জীবন ও সামাজিক জীবনে নানা সমস্যা তৈরি করছে। তাই রোগীদের বন্ধ্যাত্বের সঠিক কারণ চিহ্নিত করার সাথে সাথে সর্বাধুনিক চিকিৎসা প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে এই সমস্যা দূরীকরণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস এন্ড গাইনী বিভাগ, রিপ্রোডাকটিভ এন্ডোক্রাইনোলজি এন্ড ইনফার্টিলিটি বিভাগ যাতে বন্ধ্যাত্বের সমস্যা দূরীকরণে বিরাট অবদান রাখতে পারে সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সকল ধরণের সহায়তা প্রদান করা হবে। আজ রবিবার ২৩ মে ২০২১ইং তারিখে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস এন্ড গাইনী বিভাগ আয়োজিত বৈজ্ঞানিক সেমিনারে মাননীয় উপাচার্য এ কথা বলেন। গুরুত্বপূর্ণ এই বৈজ্ঞানিক সেমিনারে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ জাহিদ হোসেন, অবস গাইনী বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. তৃপ্তি রাণী দাস, যুক্তরাজ্যের লন্ডনের হোমারটন ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. অনিল গুডি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এদিকে মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ আজ তাঁর কার্যালয়ে প্রশাসনিক মিটিং এবং উপ-উপাচার্য শিক্ষা অফিসে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ সভায় অংশ নেন। এছাড়াও মাননীয় উপাচার্য মহোদয় ক্যাম্পাসে রাউন্ড দেন এবং কমিউনিটি অফথালমোলজি বিভাগে ল্যাকরিমাল গ্ল্যান্ড টিউমার বিষয়ে (ষধপৎরসধষ মষধহফ ঃঁসড়ৎ) মূল্যবান লেকচার প্রদান করেন।
দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন নিলেন ১৯৯ জন
এদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভেনশন সেন্টারে আজ রবিবার ২৩ মে ২০২১ইং তারিখে চলমান কঠোর লকডাউনের মাঝেও মোট ১৯৯ জন কোভিড ১৯ এর দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন। গত ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ৫৪ হাজার ৫ শত ৬৪ জন এবং আজ রবিবার ২৩ মে ২০২১ইং পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন ৪২ হাজার ৫ শত ৬৫ জন। বেতার ভবনের পিসিআর ল্যাবে আজ রবিবার ২৩ মে ২০২১ইং পর্যন্ত পর্যন্ত ১ লক্ষ ৪৩ হাজার ২ শত ৯৬ জনের কোভিড-১৯ টেস্ট করা হয়েছে। বেতার ভবনের ফিভার ক্লিনিকে আজ রবিবার ২৩ মে ২০২১ইং পর্যন্ত ৯৬ হাজার ৪ শত ৪৮ জন রোগী চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন। অন্যদিকে করোনা ইউনিটে আজ রবিবার ২৩ মে সকাল ৮টা পর্যন্ত ৮ হাজার ৭ শত ৪৮ জন রোগী সেবা নিয়েছেন। ভর্তি হয়েছেন ৪ হাজার ৯ শত ১৪ জন। সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ৪ হাজার ১ শত ৮৯ জন। বর্তমানে ভর্তি আছেন ৫৭ জন রোগী এবং আইসিইউতে ভর্তি আছেন ৬ জন রোগী। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৫ জন। ছবি: মোঃ আরিফ খান। নিউজ: প্রশান্ত মজুমদার। সার্বিক তত্ত্বাবধানে মিডিয়া সেল।

Print Friendly, PDF & Email
728×90 Banner

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here