ডেইলি গাজীপুর প্রতিবেদক: গাজীপুর মহানগর মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ফাহিমা আক্তার হোসনার খুঁটির জোর কোথায়? তার অত্যাচারে মহানগর মহিলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়ত সে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে খারাপ আচারণ করে যাচ্ছে। সে মানুষকে অভমূল্যায়ন করে। নেতাকর্মীদের অপমাণ অপধস্থসহ নাজেহাল করছে। অনেক ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের হুমকি প্রদান করছে। তার কথা মতো না চললে তাদের কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে নতুন কমিটি দেয়া হবে। এই ভয়ে অনেক নেতাকর্মী তার ছত্রছায়ায় অবস্থান নেয়। গাজীপুর মহানগর মহিলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ। তার অত্যাচার, অপমাণ, অপদস্থে নিরুপায় হয়ে মহানগর মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ফাহিমা আক্তার হোসনা ও তার দুই সহযোগী মোসা: লিপি আক্তার ও দীনা আক্তারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন এবং অভিযোগের কপি কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককেও এব্যাপারে অবগত করা হয়েছে। ইতিপূর্বে ফাহিমা আক্তার হোসনা গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের প্রতিনিধি সভায় মহানগর মহিলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের খাবারের কথা বলে মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব মো: জাহাঙ্গীর আলমের কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা নিয়েছেন। কিন্তু সামান্য টাকা খরচ করে বাকি টাকা সে আত্মসাত করেছে। খাবার না পেয়ে মহিলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের সাথে হাতাহাতি হয় গাজীপুর রাজবাড়ী মাঠে। এ সময় সে উত্তেজিত কন্ঠে মহিলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের লাঞ্ছিত করেন। তার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হয়েছে। কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা এব্যাপারে অবগত আছেন। এই সময় গাজীপুর মহানগর মহিলা আওয়ামীলীগের অসংখ্য মহিলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী তার কাছে নাজেহাল হয়েছে। কিছু সংখ্যা রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ছত্রছায়ায় থেকে সে গাজীপুরে ব্যাপক অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। তার নিয়ন্ত্রণে ৩টি বাজার রয়েছে। ওই বাজারগুলোতে মানুষের প্রতি অন্যায়-অত্যাচার ও জোরজুলুম করছে বলে এলাকাবাসী জানান।
এলাকাবাসী আরো জানান, ফাহিমা আক্তার হোসনা বিদেশে ছিলো। বিদেশে একটি বিয়ে করেন বলে এলাকাবাসী জানান। দেশে এসে সে কসাই মজিবুরকে প্রথম বিয়ে করেন। পরবর্তীতে সে তাকে ছেড়ে অসামাজিক কাজে জড়িত হন এবং পরে সে মোশাররফ হোসেন রাসেলকে বিয়ে করেন। এই যাবত সে ৩/৪টি বিয়ে করেছেন বলে এলাকাবাসী জানান। এলাকাবাসী আরো জানান, নেতাকর্মীদের ছত্রছায়ায় গাজীপুর মহানগর মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর থেকেই আগুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যান। বর্তমানে সে ৩টি গাড়ীসহ অসৎ পথে অসংখ্য টাকা-পয়সার মালিক হয়েছে বলে এলাকাবাসী জানান। গাজীপুর মহানগর মহিলা আওয়ামীলীগের বিভিন্ন ওয়ার্ডের কমিটি দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গাজীপুর মহানগর মহিলা আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অনুরোধ করেন যে, তদন্ত সাপেক্ষে গাজীপুর মহানগর মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী জানান।